নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দুই ব্যবসায়ীকে অপহরণের পর ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে দুই ঘণ্টার মধ্যে দুই ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে এক অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (৬ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বড়খাপন ইউপির পুরাতন অফিসের পেছনে পরিত্যক্ত দোকানঘর থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার হওয়া দিবাকর তালুকদার (৩৭) উপজেলার বড়খাপন ইউনিয়নের বড়ইউন্দ বাজারে নগদ, বিকাশ ও ফ্লেক্সিলোড ব্যবসায়ী এবং সাবেক ইউপি সদস্য। আরেকজন একই বাজারের ওষুধ ব্যবসায়ী ও পল্লী চিকিৎসক রিপন তালুকদার (৪২)। তারা দুজনেই বড়ইউন্দ গ্রামের বাসিন্দা।
এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন- বড়খাপন ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মাইন উদ্দিন বিশ্বাস (৫৬), তার তিন ছেলে মো. শফিকুল ইসলাম বিশ্বাস (৩২), মো. মিলন বিশ্বাস (৩৫) ও মাসুম বিশ্বাস (২৬) এবং নয়ন মিয়া (৩২), সঞ্জিত দাস (৪৩), রুবেল দাস (২৯), জিতেন্দ দাস (৪৩), সুভাস দাস (৪০), অঞ্জন দাস (৪৪) ও শালিম বিশ্বাস (৩২)। তারা সকলে একই ইউনিয়নের বড়খাপন পূর্বপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
বাজারের দোকান ঘর থেকে দুই ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে ট্রলারযোগে নিয়ে আসে অপহরণকারীরা। ৯৯৯-এ কল পেয়ে গতকাল বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অপহরণের দুই ঘণ্টার মধ্যে অপহৃত ব্যবসায়ীদের উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। এ ঘটনায় এক অপহরণকারীকে আটক করেছে পুলিশ।
অপহৃত দু’জনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তাদের দোকানে ঢুকে মিলন বিশ্বাসের নেতৃত্বে ১০-১১ জনের দলটি দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়।
এরপর দু’জনকে তুলে এনে ট্রলারে করে বর্তমান মেম্বার মাইন উদ্দিন বিশ্বাসের বাড়ির কাছে ও বড়খাপন ইউপির পুরাতন অফিসের পেছনে পরিত্যক্ত দোকান ঘরে নিয়ে এসে আটকে রাখে। পরে ৯৯৯-এ ফোন করলে পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করেন।
তারা আরো জানান, কিছুদিন আগে তারা কয়েকজন মিলে এলাকায় গড়াডোবা বিল ইজারা নেন। এ ইজারায় তাদের দুজনের ২৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। অভিযুক্তরা এই বিল ইজারা নেওয়ার সময় তৃতীয় দরদাতা হন। তারা ধারণা করছেন এর জের ধরেই তাদেরকে অপহরণ করা হয়। থানায় ওই ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেবেন বলে তারা জানান।
কলমাকান্দা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শহিদুল ইসলাম জানান, ৯৯৯ কল থেকে বিষয়টি জানার পর দুই ঘণ্টার মধ্যে দুই ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। নৌপথে গিয়ে উদ্ধারে একটু সময় লেগেছে।
তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় শফিকুল নামে একজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান তিনি।