1. najmush71@gmail.com : admin : Najmush Shakeer
  2. munir2002lubnan@gmail.com : Munirul Huq Khan : Munirul Huq Khan
শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৮ পূর্বাহ্ন

প্রতারকের খপ্পরে পড়ে চাকরিপ্রার্থীর বিভীষিকাময় ২৪ ঘণ্টা, গ্রেপ্তার ৪

রিপোর্টার
  • আপডেট : শনিবার, ২ জুলাই, ২০২২

করোনাকালে ব্যবসায় লোকসান গুনে দিশেহারা ছিলেন চাঁদপুরের যুবক কাউছার হামিদ (২৭)। এরপর খুঁজতে শুরু করেন চাকরি। একটি পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেখে আবেদনও করেন। আর তাতেই মিলে যায় সাড়া। মৌখক পরীক্ষার জন্য তাকে ডাকা হয় ময়মনসিংহে। আসার পরই বুঝতে পারেন তিনি পড়েছেন প্রতারকের খপ্পরে। এরপরের কাটে বিভীষিকাময় এক দিন।

অমানবিক নির্যাতনের পাশাপাশি তার কাছ থেকে প্রতারকরা হাতিয়ে নেয় এক লাখ টাকা। কৌশলে তাদের কাছ থেকে প্রাণে বেঁচে ফিরে পুলিশের সহযোগিতা চান হামিদ। শুক্রবার (২ জুলাই) দায়ের করেন মামলা। ওই রাতেই চার প্রতারককে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় কোতোয়ালি থানা পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃত চার প্রতারকই সহোদর ভাই। তারা হলেন, গৌরীপুর উপজেলার ভাংনামারী ইউনিয়নের সুতিরপাড়া গ্রামের মুন্সিবাড়ী এলাকার মৃত সেকান্দর আলীর ছেলে মো. সাবিকুর রহমান ওরফে শফিক মাস্টার (৩৪), শাহজাহান মিয়া (৩৫), শামীম হাসান (২৬), সাইদুল ইসলাম (২৪)।

শনিবার (২ জুন) বিকেলে গ্রেপ্তারকৃত চার প্রতারককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ থানার আবুল কাশেমের ছেলে ভুক্তভোগী চাকরিপ্রার্থী কাউছার হামিদ বলেন, আমার চাকরির খুব দরকার ছিল। সাপ্তাহিক চাকুরির খবর পত্রিকায় প্রতিবন্ধী বিষয়ক সংস্থায় চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখে গত ৪ মে নিয়ম অনুযায়ী জীবন বৃত্তান্ত পাঠাই। গত ২৮ জুন আমার মোবাইল নম্বরে কল আসে। সাবিকুর রহমান ওরফে শফিক মাস্টার নামে একজন আমাকে জানান, আমি প্রাথমিকভাবে সিলেক্ট হয়েছি। মৌখক পরীক্ষার মাধ্যমে চূড়ান্তভাবে নিয়োগ দেয়া হবে। সেজন্য ময়মনসিংহে আসতে হবে।

তিনি বলে চলেন, কথা মতো ২৯ জুন বিকেলে নগরীর শম্ভুগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে আসি। তখন শফিক ও তার ভাই শাহজাহান আমাকে মোটরসাইকেলে তুলে গৌরীপুর উপজেলার ভাংনামারী ইউনিয়নের সুতিরপাড়া গ্রামে নিয়ে যান। রাতে সেখানে একটি ঘরে নিয়ে যাওয়ার পরই মূলত বুঝতে পারি আমি প্রতারকের খপ্পরে পড়েছি। সেখানে তারা আমাকে আটকে রেখে প্রথমে কিডনি খুলে রাখার হুমকি দেন।

এরপর ৫ লাখ টাকা দাবি করে একটি অন্ধকার কক্ষে রাতভর চালায় নির্যাতন। একপর্যায়ে নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে ৩ লাখ টাকা দিতে রাজি হন। পরদিন বৃহস্পতিবার বিকাশের মাধ্যমে বাড়ি থেকে ১ লাখ টাকা আনিয়ে দেই। ওই দিন রাত ১১টার দিকে আমাকে ছেড়ে দেয় তারা।

ছাড়া পেয়ে আমি বাড়ি ফিরে না গিয়ে থানায় এসে ঘটনার বিস্তারিত জানালে পুলিশ আমার কাছ থেকে মামলা নিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যেই চারজনকে গ্রেপ্তার করে আনেন, যোগ করেন প্রতারণার শিকার এ চাকরিপ্রার্থী।

ওসি শাহ কামাল আকন্দ বলেন, কাউছার হামিদ সেখান থেকে ছাড়া পেয়ে শুক্রবার রাতে ওই চারজনকে আসামি করে কোতোয়ালি মডেল থানায় প্রতারণার মামলা করেন। মামলার পর রাতেই অভিযান চালিয়ে প্রতারকদের গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩ আঙ্গর টিভি