শেরপুর জেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে নতুন কমিটিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে আগ্রহী পদপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে জীবনবৃত্তান্ত চাওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শেরপুর জেলা শাখার নতুন কমিটিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে আগ্রহী পদপ্রত্যাশীদের আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃবৃন্দের কাছে জীবনবৃত্তান্ত জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলো।
জেলা ছাত্রলীগের একটি সূত্র জানিয়েছে, বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাউল করিমসহ কয়েকজন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে আবদুল আওয়াল নামের এক ব্যবসায়ীর ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ২৬ জুন রাতে শহরের নবীনগর এলাকায় আহত ব্যবসায়ীর দোকানের সামনে ওই হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আবদুল আওয়ালের বড় ভাই কামাল মিয়া বাদী হয়ে গত ২৭ জুন রাতে সদর থানায় মামলা করেন।
ওই মামলায় রেজাউল করিম, ছাত্রলীগের শেরপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট শাখার সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাকিবসহ ১১ জন এবং অজ্ঞাতনামা ৫ থেকে ৬ জনকে আসামি করা হয়। বর্তমানে আহত ব্যবসায়ী আবদুল আওয়াল রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন। বিষয়টি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নজরে আসার পরই গতকাল শেরপুর জেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়।
জেলা ছাত্রলীগের বিদায়ী সভাপতি শোয়েব হাসান আজ দুপুরে বলেন, বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ ওঠায় ও মামলার ঘটনায় কেন্দ্র থেকে জেলা কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে বলে তিনি মনে করছেন।