মুঠোফোন অপারেটর গ্রামীণফোন রিচার্জের সর্বনিম্ন সীমা বাড়িয়েছে। এখন থেকে অপারেটরটির গ্রাহকদের সর্বনিম্ন ২০ টাকা রিচার্জ করতে হবে। এর আগে সর্বনিম্ন ১০ টাকা রিচার্জ করা যেত। গ্রামীণফোন গ্রাহকদের খুদে বার্তা (এসএমএস) দিয়ে বিষয়টি জানিয়ে দিচ্ছে।
গ্রামীণফোনের হেড অব এক্সটার্নাল কমিউনিকেশন মুহাম্মদ হাসান বলেন, ‘আমাদের বিভিন্ন প্রডাক্টের সুবিধা সরলীকরণ করার অংশ হিসেবে ফ্লেক্সিলোডের সর্বনিম্ন রিচার্জ ২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে ২০ টাকার কমে সুলভ মূল্যে ১৪ ও ১৬ টাকার মিনিট প্যাকগুলো এবং সব রিচার্জ কার্ডগুলো আগের মতোই চালু থাকবে।’
মুহাম্মদ হাসান আরও বলেন, ২১ এবং ২৯ টাকা রিচার্জে দুই দিন এবং তিন দিন মেয়াদে যেকোনো লোকাল নম্বরে গ্রাহকেরা বিশেষ কলরেট সুবিধা পাবেন।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) হিসাবে, দেশে এখন ১৮ কোটি ৪২ লাখ সক্রিয় সিম রয়েছে। এর মধ্যে গ্রামীণফোনের সিম সংখ্যা ৮ কোটি ৪৯ লাখ ৫০ হাজার। গ্রাহক সংখ্যা, রাজস্ব ও মুনাফার দিক দিয়ে গ্রামীণফোন বাংলাদেশের শীর্ষ অপারেটর। গত সপ্তাহে বিটিআরসি সেবার মান সন্তোষজনক নয় উল্লেখ করে গ্রামীণফোনের নতুন সিম বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
অবশ্য গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষ এরপর এক বিবৃতিতে বলেছে, দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় টেলিকম ব্র্যান্ড গ্রামীণফোন বিটিআরসি ও আন্তর্জাতিক সংস্থা আইটিইউ’র সেবার মানদণ্ড অনুসরণ করার পাশাপাশি সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মানদণ্ড থেকেও এগিয়ে। ধারাবাহিকভাবে নেটওয়ার্ক ও সেবার মানোন্নয়নে তারা বিটিআরসির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে এবং নেটওয়ার্ক আধুনিকীকরণে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হওয়া নিলামেও গ্রামীণফোন সর্বোচ্চ অনুমোদিত তরঙ্গ অধিগ্রহণ করেছে। এমতাবস্থায় অপ্রত্যাশিত এ চিঠি ও নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণ আমরা পরিস্থিতি মূল্যায়ন করছি। আমরা মনে করি, আমাদের সম্ভাব্য গ্রাহকদের স্বার্থে নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনাই হবে এ সমস্যা সমাধানের সর্বোত্তম উপায়।
এদিক গ্রামীণফোনের সিম বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিটিআরসি)। গত বুধবার এমন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে গ্রামীণফোনকে চিঠি দিয়েছে বিটিআরসি। সংস্থাটির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র বলেন, সেবার মান নিয়ে প্রশ্ন থাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য গ্রামীণফোনের সিম বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নতুন সিম বিক্রি করতে পারবে না গ্রামীণফোন। তিনি বলেন, গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের অভিযোগ ছিল। আবার বিটিআরসির পরীক্ষাতেও সেবার মান সন্তোষজনক বলে মনে হয়নি।
গ্রামীণফোনের বক্তব্য
বিটিআরসির সিদ্ধান্ত নিয়ে গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষ দেওয়া বিবৃতিতে বলে, দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় টেলিকম ব্র্যান্ড গ্রামীণফোন বিটিআরসি ও আন্তর্জাতিক সংস্থা আইটিইউর সেবার মানদণ্ড অনুসরণ করার পাশাপাশি সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মানদণ্ড থেকেও এগিয়ে আছে। ধারাবাহিকভাবে নেটওয়ার্ক ও সেবার মানোন্নয়নে তারা বিটিআরসির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে এবং নেটওয়ার্ক আধুনিকীকরণে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হওয়া নিলামেও গ্রামীণফোন সর্বোচ্চ অনুমোদিত তরঙ্গ নিয়েছে।
বিটিআরসির এ চিঠিকে ‘অপ্রত্যাশিত’ অভিহিত করে গ্রামীণফোন বলেছে, এ চিঠি ও নিষেধাজ্ঞা নিয়ে তারা পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণ ও পরিস্থিতি মূল্যায়ন করছে। সম্ভাব্য গ্রাহকদের স্বার্থে নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনাই হবে এ সমস্যা সমাধানের সর্বোত্তম উপায়।