সাতক্ষীরার কলারোয়ায় গভীর রাতে পরকীয়া প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে তাড়া খেয়ে প্রেমিকের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ জুন) দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার কেরালকাতা ইউনিয়নের কাজিরহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ ৪ জনকে আটক করেছে।
মৃত নিজাম উদ্দীন উপজেলার কুশোডাঙ্গা ইউনিয়নের গোয়ালচাতার গ্রামের মৃত ফকির আহম্মেদের ছেলে। তিনি কাজিরহাট বাজারের বিকাশের এজেন্ট ও মুদি ব্যবসায়ী।
আটকরা হলেন, দুবাই প্রবাসী আব্দুস সামাদের স্ত্রী তহমিনা বেগম (৩৮), তার ছেলে সুমন (২১), তাদের প্রতিবেশী প্রবাসীর চাচাতো ভাই আব্দুল মাজেদ (৫০) ও মাজেদের ছেলে মোমিনুল ইসলাম (২০)।
মৃত নিজাম উদ্দীনের ছেলে গোলাম রসুল দাবি করে বলেন, রাতে দোকান থেকে তার বাবা বাড়ি ফিরছিলেন। তার কাছে টাকা ছিল। টাকাগুলো কেড়ে নেয়ার জন্য বাবাকে মারধর করে হত্যা করা হতে পারে।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘ দিন ধরে নিজাম উদ্দীন ও দুবাই প্রবাসী আব্দুস সামাদের স্ত্রী তহমিনার মধ্যে পরকীয়া সম্পর্ক চলছিল। রাতে পরকীয়া প্রেমিক ব্যবসায়ী নিজাম উদ্দীন তার বাড়িতে আটকের পর চড় থাপ্পড় দিলে তিনি দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এসময় পড়ে গিয়ে তার মৃত্যু হয়।
আটক মাজেদের কন্যা সাবিনা খাতুন বলেন, রাতে বাড়ির পাশের পুকুর পাড়ে এক ব্যক্তিকে দেখতে পেয়ে চোর চোর বলে চিৎকার করলে ওই ব্যক্তি দৌঁড়ে পুকুরের পানিতে লাফ দেন। বাবা-ভাইয়েরা তাকে (নিজাম উদ্দীন) পানি থেকে তুলে দেখেন তিনি মারা গেছেন।
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দীন মৃধা জানান, কাজিরহাট এলাকায় আব্দুস সামাদ একজন দুবাই প্রবাসী। তিনি বিভিন্ন সময় মোবাইল ব্যাংকিয়ের মাধ্যমে তার স্ত্রী তহমিনা বেগমের কাছে টাকা পাঠাতেন। এক পর্যায়ের বিকাশের এজেন্ট নিজাম উদ্দীনের সঙ্গে তহমিনা বেগম পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন।
তিনি আরো জানান, আগে থেকে ফোনে আলাপ করে মঙ্গলবার রাতে পরকীয়া প্রেমিকার বাড়িতে যান নিজাম উদ্দীন। এ সময় তহমিনা বেগমের ছেলে সুমন তাকে দেখে ফেলে। এরপর তিনি চোর চোর বলে চিৎকার দিলে নিজাম উদ্দীন দৌঁড়ে পালিয়ে যান। দৌঁড়ে পালাতে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যেতে পারেন।
ওসি বলেন, মরদেহ সকালে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েকজনকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।