জামালপুরে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এতে প্লাবিত হয়েছে সব উপজেলার নিম্নাঞ্চল। রোববার (১৯ জুন) সন্ধ্যা পর্যন্ত যমুনা নদীর বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৩২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) জামালপুর কার্যালয়ের পানি পরিমাপক আবদুল মান্নান।
পাউবো সূত্র জানিয়েছে, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে আরও দু’একদিন। পানি বাড়ার ফলে দেওয়ানগঞ্জ, ইসলামপুর, মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, সরিষাবাড়ী, বকশিগঞ্জসহ জামালপুর সদর উপজেলার নতুন নতুন এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। আর নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটছে সাধারণ মানুষ।
এদিকে বন্যার পানিতে এ পর্যন্ত ৫০৪ হেক্টর জমির ফসল নিমজ্জিত হয়েছে। এর মধ্যে আউশ ধান ৬৪ হেক্টর, পাট ৩৭০ হেক্টর, শাকসবজি ৫৯ হেক্টর ও মরিচ ১১ হেক্টর। এসব তথ্য জানিয়েছেন জামালপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক জাকিয়া সুলতানা।
ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর হাসান জানান, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় তা লোকালয়ে ঢুকছে। দুর্গম ও চরাঞ্চলে খোঁজখবর রাখা হচ্ছে। কোনো পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়ছেন কি না। বন্যা মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
জামালপুর জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো.আলমগীর হোসাইন জানান, বন্যা মোকাবিলায় প্রতিটি উপজেলায় ৫০ মেট্রিক টন চাল ও ১ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। শুকনা খাবারের বরাদ্দও পাওয়া গেছে। দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় দুটি স্কুলে বেশ কিছু পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। তাদের মধ্যে দুই মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক শ্রাবস্তী রায় বলেন, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা চুকাইবাড়ি ইউনিয়নের বন্যা কবলিত ৫০টি পরিবারকে রেলওয়ে স্কুলে আশ্রয় কেন্দ্রে আনা হয়েছে। এছাড়াও বন্যাকবলিত এলাকায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া বন্যাদুর্গতদের জন্য অগ্রিম ত্রাণ সামগ্রী বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।