গত ৬ জুন দিন-দুপুরে ময়মনসিংহ নগরীর বর্ষা জুয়েলার্স থেকে কৌশলে ৮ ভরির বেশি স্বর্ণ চুরি করেছিল একটি সংঘববদ্ধ চোরের দল। গত ৮ দিনেও সেই চুরির রহস্যের কোনো কূল-কিনারা করতে পারেনি পুলিশ। তবে পুলিশ জানিয়েছে, তারা চোরের দলটিকে শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।
নগরীর ট্রাংকপট্টি এলাকার বর্ষা জুয়েলার্সের মালিক রনজিৎ দেবনাথ বলেন, গত ৬ জুন দুপুরবেলা তিনি ও আরেকজন দোকানে ছিলেন। অন্যজন কাজে বাইরে গেলে তিনি দোকান একাই সামলাতে থাকেন। এসময় দোকানে দুই ধাপে একজন নারীসহ বেশ কয়েকজন ক্রেতা চলে আসেন। তারা ডিসপ্লে থেকে গ্লাস সরিয়ে ডালা বের করে দেখতে থাকেন। ডালাগুলোতে গহনা সাজানো ছিল। এগুলো দেখে তারা চলে যান। কিছুক্ষণ পরই রনজিৎ দেবনাথ বুঝতে পারেন, তার দোকানের মাল চুরি হয়েছে। এরপর তিনি পুলিশ এবং আশেপাশের লোকজনকে ঘটনাটি জানান।
রনজিৎ দেবনাথ বলেন, দোকানের সিসি ক্যামেরায় চুরির ঘটনাটি রেকর্ড আছে। তিনি জানান, ৮ ভরির ওপরে সোনা ছিল ওই ডালাগুলোতে।
ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, রনজিৎ দেবনাথ বিভিন্ন ডালা থেকে গহনা দেখাচ্ছেন ক্রেতা সেজে আসা চোরের দলকে। সেখানে ৩ জন পুরুষ এবং একজন নারী ছিলেন। দলের দুজনকে গহনা দেখাতে থাকেন মালিক। এদের একজন নিজেই দুটো ডালা বের করে রেখে দেন ডিসপ্লে টেবিলের ওপর। তিনি এগুলো রেখে ওপাশে চলে যান। তারা তিনজন রনজিৎ দেবনাথের সঙ্গে কথা বলে তাকে ব্যস্ত রাখেন। সঙ্গে থাকা সেই নারী সুযোগ বুঝে মালিকের অগোচরে ডালা দুটি তার পরনের কাপড়ের নিচে লুকিয়ে ফেলেন এবং নির্বিঘ্নে দোকান থেকে বেরিয়ে যান। একে একে তারা সবাই সটকে পড়েন। রাস্তার সিসি ক্যামেরাতেও তাদের চলে যেতে দেখা গেছে।
এ ব্যাপারে এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই উজ্জ্বল সাহা বলেন, তারা ক্যামেরা ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখছেন। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে তারা লোকও নিযুক্ত করেছেন চোরের দলটিকে শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করার জন্য।