ময়মনসিংহের ভালুকায় ডিম বহনকারী একটি পিকআপ থামিয়ে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ৭৫ হাজার ডিম লুটের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ছয় ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
গ্রেপ্তারকৃতরা হল- ভালুকার ভরাডোবা এলাকার খোরশেদ হোসেন জুয়েল (৩৯), একই এলাকার সুমন মিয়া (২০), আব্দুস সামাদ (৩১), ত্রিশালের গোপালপুর এলাকার আবু রায়হান (২২), গুজিয়াম গ্রামের এনামুল হক প্রভাত (২৩) ও অলহরি গ্রামের সোহাগ আলী (৩০)।
শনিবার (১১ জুন) দুপুরে জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম এসব তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে, শুক্রবার ময়মনসিংহ ও গাজীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান ওই ছয় ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিবির ওসি সফিকুল ইসলাম জানান, ৩০ মে রাত সোয়া ২ টার দিকে উপজেলার ভরাডোবা-উথুরা সড়কে একদল ডাকাত দুইটি মোটরসাইকেল ও একটি প্রাইভেটকারে করে এসে ৭৫ হাজার মুরগীর ডিম বহনকারী একটি পিকআপকে পথরোধ করে।এসময় পিকআপ চালক মমিন, সহযোগী সুমন মিয়া ও ম্যানজার সবুজকে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে পিকআপ থেকে নামিয়ে ডাকাতদের প্রাইভেটকারে তুলে গামছা দিয়ে চোখ বেঁধে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে তারা পিকআপটি ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার দূরে নিয়ে গিয়ে ডিমগুলো লুট করে পিকআপটি ফেলে যায়।
পরদিন এ ঘটনায় ভালুকা মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলার তদন্তভার ন্যস্ত করা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওপর। পরে তদন্ত ও অভিযান শুরু করে ডিবি এবং জড়িতদের শনাক্ত করতেও সক্ষম হয়। এরপর শুক্রবার ডিবির একটি দল গাজীপুর ও ময়মনসিংহের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ওই ছয় ডাকাতকে গ্রেপ্তার করে। এসময় আসামিদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত প্রাইভেটকার, লুট করা ডিম বহন ও বিক্রির কাজে ব্যবহৃত পিকআপ এবং নগদ ১ লাখ ১২ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে ডিবির ওসি আরও জানান, ঘটনার আগের দিন আসামিরা ভালুকার ভরাডোবা বাজারে এক হয়ে ডাকাতির পরিকল্পনা চূড়ান্ত করে। পরিকল্পিতভাবে প্রাইভেটকার ভাড়া করে ও মোটরসাইকেল নিয়ে এ ঘটনা ঘটায়। পরবর্তীতে লুট করা ৭৫ হাজার ডিম থেকে ৩৭ হাজার ডিম গাজীপুর চৌরাস্তা কাঁচাবাজারে বিক্রি করে।
লুণ্ঠিত অবশিষ্ট ডিম, ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র ও জড়িত অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান ডিবির এ কর্মকর্তা।