ময়মনসিংহের পাগলায় বাক্প্রতিবন্ধী তরুণীকে (২৪) ধর্ষণের ঘটনায় মো. জহিরুল ইসলাম (২৮) নামে এক যুবক গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন। আজ সোমবার দুপুরে র্যাব-১৪ এর কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
এর আগে গতকাল রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে গাজীপুর জেলার শ্রীপুরের কাউরাইদ এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত জহিরুল ইসলাম পাগলা থানার পাইথল ইউনিয়নের মো. নাছির মিয়ার ছেলে।
এ বিষয়ে র্যাব-১৪ এর সহকারী পরিচালক (স্কোয়াড কমান্ডার) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ধর্ষণের শিকার তরুণী বাক্প্রতিবন্ধী। গত জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে ওই বাক্প্রতিবন্ধী তরুণীকে নিজ বাড়িতে একা পেয়ে ধর্ষণ করেন বখাটে জহিরুল ইসলাম। তবে মেয়েটি কথা বলতে না পারায় তাঁর পরিবারকে বিষয়টি জানাতে পারেননি। এভাবেই ঘটনাটি চাপা পড়ে যায়।
সম্প্রতি ওই তরুণী জন্ডিসে আক্রান্ত হন। কবিরাজি ওষুধ খাওয়ানোর পর তাঁর জন্ডিস ভালো হয়। তবে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ২০ মে চিকিৎসকের কাছে যান। চিকিৎসক আলট্রাসনোগ্রাফি করানোর পরামর্শ দেন। পরে আলট্রাসনোগ্রাফিতে তার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি জানতে পারে পরিবার।
মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, তবে এ ঘটনার জন্য দায়ী কে তা জানা ছিল না। তিনি কারও নামও বলতে পারেন না। এ অবস্থায় এলাকার কিছু বখাটে ছেলের ছবি দেখালে তিনি জহিরুল ইসলামকে ধর্ষক হিসেবে চিহ্নিত করেন। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে জহিরুল এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান।
এই ঘটনার পর গত ২৭ মে (শনিবার) রাতে ওই বাক্প্রতিবন্ধী তরুণীর মা বাদী হয়ে জহিরুল ইসলামকে আসামি করে থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। মামলার পর অভিযান চালিয়ে জহিরুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত জহিরুল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তাঁকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।