চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত ফায়ারফাইটার রমজানুল ইসলাম রনির (২২) নিজ এলাকা শেরপুরে এখন চলছে তার লাশের অপেক্ষা।
৬ জুন সোমবার দুপুরের পর চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে নিহত রমজানুল ইসলাম রনির লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে বলে পরিবারের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছেন চরশেরপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. হুমায়ুন মিয়া। ময়নাতদন্তের পর আনুষ্ঠানিকতা শেষে পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তারা লাশ নিয়ে শেরপুরের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।
মঙ্গলবার (০৭ জুন) সকাল ১১টার দিকে নিজ এলাকা শেরপুর সদরের চরশেরপুর ইউনিয়নের হেরুয়া-বালুরঘাট গ্রামে নিহত ফায়ারফাইটার রমজানুল ইসলাম রনির জানাজা শেষে লাশ দাফনের কথা রয়েছে বলেও জানান ওই ইউপি মেম্বার।
এদিকে একটি হত্যা মামলায় জেলহাজতে থাকা নিহত ফায়ারফাইটারের বাবা মো. আক্রাম হোসেন আঙ্গুর মিয়ার পক্ষে সোমবার দুপুরে আদালতে জামিনের আবেদন জানানো হলে বিচারক তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন বলে জানিয়েছে আদালতের একটি সূত্র। আসামিপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আব্দুর সবুর মিনা সাত দিনের জন্য তাঁর জামিন মঞ্জুর করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন আদালতের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট ইমাম হোসেন ঠান্ডু।
গত শনিবার রাতে চট্টগ্রামের শীতলপুর এলাকায় বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। অগ্নিকাণ্ডের সংবাদ পেয়ে অন্য সহকর্মীদের সঙ্গে আগুন নেভাতে গিয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসে কর্মরত শেরপুরের ছেলে ফায়ারফাইটার রমজানুল ইসলাম রনি। রবিবার বিকেলে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে তার স্ত্রী ও সহকর্মীরা লাশ শনাক্ত করেন। রবিবার সন্ধ্যায় রমজানুল ইসলাম রনির নিজ এলাকা শেরপুর সদরের হেরুয়া বালুরঘাট গ্রামের বাড়িতে মৃত্যুর সংবাদ পৌঁছায়। খবর পেয়ে রবিবার রাতেই রমজানুলের মা কামরুন্নাহার বেগম, চাচা আবুল কাশেম ও ছোট ভাই তারিকুল ইসলাম চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দিয়ে সোমবার সকালে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছান। সেখানে অপেক্ষায় ছিলেন রনির স্ত্রী রূপা আক্তার।
রমজানুল ইসলাম রনির চাচা চরশেরপুর ইউপির সাবেক মেম্বার মো. জামান মিয়া জানান, প্রায় দেড় বছর আগে চাকরি হয় রনির। চার ভাই-বোনের মধ্যে সবর বড় রনি। প্রায় তিন মাস আগে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বদলি হয়ে সেখানেই স্ত্রীসহ বসবাস করছিলেন। তিনি বলেন, ‘তার মৃত্যুতে আমরা হতবিহ্বল হয়ে পড়েছি। আমরা এখন তার লাশের অপেক্ষা করছি। ‘