ময়মনসিংহের ফুলপুরে পোষা কুকুরের কামড়ে ৭ ছাগলের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আরও একটি ছাগল চিকিৎসাধীন রয়েছে। এসব কুকুরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। উপজেলার পয়ারী ইউনিয়নের গুপ্তেরগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, কুকুর মালিক আক্কল আলীর ছেলে রুহুল আমিন ওরফে আমিনের বিরুদ্ধে একই এলাকার মৃত জসীম মন্ডলের ছেলে শফিকুল ইসলাম (৪৮) ও কাজিম উদ্দিনের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন (৩২) রবিবার (২৯ মে) রাতে পৃথক পৃথকভাবে ওই অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আমিনের পোষা কুকুরের কামড়ে এ পর্যন্ত শফিকুলের ৫টি ও জাহাঙ্গীরের ২টিসহ মোট ৭টি ছাগল মারা গেছে এবং ১টি ছাগল গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। এগুলোর বাজার মূল্য আনুমানিক ৫৬ হাজার টাকা বলে জানান ছাগল মালিকপক্ষ।
এতে অতিষ্ঠ হয়ে তারা প্রতিবাদ করলে কুকুরের মালিক ভুক্তভোগীদের পাল্টা গালিগালাজ করেন ও মারতে উদ্যত হন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে আমিন বলেন, এসব কুকুর আমার না। আমি কুকুর লালন-পালন করি না। কিন্তু ভুক্তভোগী শফিকুল ও জাহাঙ্গীর জানান, এগুলো আমিনের কুকুর। সে তার বাড়িতে এগুলোকে লালন-পালন করে। এসব কুকুর যখন কামড়ায় তখন এগুলোকে ফিরাতে গেলে সে আমাদের গালিগালাজ করে ও মারতে আসে।
এ বিষয়ে ফুলপুর থানার এসআই তরিকুল ইসলামের নিকট জানতে চাইলে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে তিনি বলেন, কুকুরের কামড়ে কয়েকটি ছাগল মারা গেছে মর্মে ২টি অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়াও বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রবে স্কুল পড়ুয়া ছোট ছেলে মেয়েদের নিয়ে আতঙ্কে দিন পার করছেন এলাকাবাসী।
জানা যায়, মঙ্গলবার (৩১ মে) পৌরসভার ছোট কুঁড়েরপাড় গ্রামের হাফেজ হাফিজুল্লাহ শিবলীর ছাগলকে বেওয়ারিশ কুকুরে কামড়িয়ে আহত করেছে। এর আগে নগুয়া গ্রামে একটি গর্ভবতী ছাগলকে ২টি বেওয়ারিশ কুকুর যৌথভাবে কামড়িয়ে আহত করার সংবাদ পাওয়া গেছে। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি চর কাজিয়াকান্দা গ্রামের ফাতেমা খাতুন, তার পাশের বাড়ির সালেমা খাতুন, চা বিক্রেতা শাহীন, শান্তা, রিয়া, রাইসা, ইয়াসমিন, সানজিদা ও পুরাতন ডাকবাংলার অজ্ঞাত একজনসহ অনেকেই বেওয়ারিশ কুকুরের কামড়ে আহত হয়েছেন।
এর আগে ২০১৭ সনের ২৮ জুনে ভাইটকান্দি ইউনিয়নের সখল্যা গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে ভাইটকান্দি স্কুলের প্রথম শ্রেণীর ছাত্র তামিম (৭) কুকুরের কামড়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এলাকাবাসী এ বিষয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।