বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম বলেছেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছি শেখ হাসিনার সরকার পদত্যাগ করুন। একটি নিরপেক্ষ সরকার আসুক। শেখ হাসিনার অধীনে বিএনপি আর কোনো নির্বাচনে যাবে না। বিএনপি না গেলে কোনো নির্বাচন হতে দেবও না। নিশিরাতের ভোট বারবার করা যাবে না।
তিনি বলেন, বিএনপি সাহসী মানুষ ও ভদ্রলোকের দল। বেগম জিয়া সেই ভদ্রমানুষের দলের নেতা। মহীয়সী নারী বেগম খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তার কারণেই শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু থেকে বেগম জিয়াকে টুস করে ফেলে দিতে চায়।
মেজর হাফিজ আরও বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম গণতন্ত্রের জন্য। দেশে এখন গণতন্ত্র নেই। আজ স্বাধীনতার ৫১ বছর পর মনে হয় আওয়ামী লীগের দুঃশাসনে গণতন্ত্র বিলীন হয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে বিএনপির চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া সম্পর্কে কটূক্তি, হত্যার হুমকি, দেশব্যাপী আওয়ামী সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে ময়মনসিংহ উত্তর ও দক্ষিণ এবং মহানগর বিএনপির উদ্যোগে নতুনবাজার দলীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডা. মাহবুবুর রহমান লিটনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন- বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ওয়ারেস আলী মামুন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক এ কে এম শফিকুল ইসলাম, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক এমপি শাহ শহীদ সারোয়ার ও শাহ নুরুল কবীর শাহীন, ইঞ্জিনিয়ার ইকবাল হোসেন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবু ওয়াহাব আকন্দ, দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন বাবলু ও ফকরউদ্দিন আহমদ বাচ্চু, উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক তায়্যেবুর রহমান হিরন।
সমাবেশ সঞ্চালনা করেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক শেখ আমজাদ আলী, উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদার ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর মাহমুদ আলম।
এ সময় মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী রানা, শাহ শিব্বির আহমেদ বুলু, একেএম মাহবুবুল আলম, রতন আকন্দ, শামীম আজাদ, দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আক্তারুজ্জামান বাচ্চু, আবুল ফাত্তাহ, ডা. মোফাখখারুল ইসলাম রানা, মহিলা দলের পারভীন ও খালেদা আতিকসহ বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিক দল ও তাঁতী দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।