আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করেছিল জিয়াউর রহমান। আর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ সকল নেতাকর্মীদের এক সাথে হত্যা করার জন্য ১৪টি গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছিল তার ছেলে তারেক রহমান। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করতে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ প্রণয়ন করা হয়। আর শেখ হাসিনাকেও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় থানায় মামলা নেওয়া হয়নি। সেদিন পল্টন থানার ওসি জানিয়েছিল উপরের নির্দেশ আছে, মামলা নেওয়া যাবে না। যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে পারে, যারা বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য ১৪টি গ্রেনেড নিক্ষেপ করতে পারে, তারা যদি ক্ষমতায় যায় তবে আমাকে, আপনাকে হত্যা করতে হাত কাঁপবে না।

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলা সদরে পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আজ দুপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২০২৪ সালের প্রথম সাপ্তাহে। সেই নির্বাচনে কিশোরগঞ্জের ছয়টি আসনের মধ্যে একটি আসন যদি ছুটে যায়, আর সারা দেশে আমরা যদি ১৫১ আসন না পাই, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবার যদি প্রধানমন্ত্রী হতে না পারেন, তাহলে বাংলাদেশ আবারও পাকিস্তান হবে। আর তখন আমাদের অবস্থা কী হতে পারে ভেবে দেখেছেন? তাই আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে। নির্বাচনে নেত্রী যাকে মনোনয়ন দেবেন, তাকে পছন্দ না হলেও সেই প্রার্থীর চেহারা না দেখে শেখ হাসিনার মুখের দিকে তাকিয়ে নৌকা মার্কায় ভোট দিতে হবে।

হোসেনপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জহিরুল ইসলাম নূরু মিয়ার সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাঁপা, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকী এমপি, কেন্দ্রিয় সদস্য এবিএম রিয়াজুল কবির কাউসার, সাহাবুদ্দিন ফরাজী, কিশোরগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য মো.আফজল হোসেন, কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য প্রকৌশলী রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, কিশোরগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি, কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু, সদস্য কৃষিবিদ মশিউর রহমান হুমায়ুন, মো.আনিসুল বারী, মো.শাহজাহান পারভেজ, মাহবুবুল আলম জালাল, কৃষিবিদ মোকাম্মেল রুবেল প্রমুখ।

জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মো. জিল্লুর রহমান সম্মেলন উদ্বোধন করেন। সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট এম.এ আফজল।

সম্মেলন সঞ্চালনা করেন হোসেনপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মাহবুবুল হক।