রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় পুলিশের অভিযানে জব্দ করা প্রায় ২৬ হাজার লিটার সয়াবিন তেল ১১০ টাকা লিটার দরে বিক্রি করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বাগমারা উপজেলার দুজন ডিলারের মাধ্যমে এই তেল বিক্রি করতে বলা হয়েছে, যার তদারকির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পুলিশকে।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও আমলি আদালত-২–এর বিচারক মারুফ আল্লাম এই নির্দেশ দেন।
আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, পুলিশের অভিযানে জব্দ করা ২৫ হাজার ৭৯৪ লিটার তেল ২৮ ও ২৯ মে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) স্থানীয় ডিলার মেসার্স মোবিদুল এন্টারপ্রাইজ (ঝাড়গ্রাম, বাগমারা) এবং মেসার্স বেলাল ট্রেডার্সের (জলপাইতলা, গোয়ালকান্দি, বাগমারা) মাধ্যমে বিক্রি করতে হবে। শুধু মামলার আলমতের জন্য সংরক্ষিত তেল বাদ দিয়ে বাকি তেল দুই ডিলারের মধ্যে সমানভাবে ভাগ করে দিতে বলা হয়েছে। ডিলার পর্যায়ে প্রতি লিটার তেল ১০৫ দশমিক ৩৭ টাকা (শূন্য দশমিক ৩৫ শতাংশ বিক্রয় করসহ) হিসাবে বাগমারা থানার ওসি ডিলারদের বুঝিয়ে দেবেন। ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি লিটার তেলের দাম নেওয়া হবে ১১০ টাকা করে।
একজন ভোক্তা সর্বোচ্চ দুই লিটার ভোজ্যতেল নিতে পারবেন। এই আদেশে শর্ষের তেলের দামের ব্যাপারে আলাদা করে নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। আদালতের আদেশে শুধু ভোজ্যতেল বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
বাগমারা থানার ওসি তেল বিক্রির টাকা রাজশাহীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হিসাবরক্ষক বরাবর জমা দেবেন। হিসাবরক্ষক ওই অর্থ রাষ্ট্রের অফেরতযোগ্য কোডে চালানযোগে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেবেন। বিশৃঙ্খলা এড়ানোর জন্য বিক্রয়কেন্দ্রে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৯ মে রাতে বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর বাজারপাড়া ও তেলিপাড়া এলাকার দুটি গুদাম থেকে ১৯ হাজার ২২৪ লিটার সয়াবিন এবং ৭ হাজার ৫০০ শর্ষের তেল জব্দ করে জেলা পুলিশ। এই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয় সেখানকার তেল ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলামকে (৪০)। ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাঁর বড় ভাই রফিকুল ইসলাম পালিয়ে যান। তাঁদের দুজনের নামে ওই রাতেই বাগমারা থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হয়।