প্রেমিকাকে বিয়ের প্রলোভনে দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে শারীরিক সম্পর্ক করা সেই প্রেমিকের বিরুদ্ধে অবশেষে ধর্ষণের মামলা নিল পুলিশ। এর আগে ওই প্রেমিক অন্যত্র বিয়ে করার প্রস্তুতি নিলে প্রেমিকা বিয়ের দাবিতে বিষের বোতল নিয়ে তাঁর বাড়িতে অবস্থান নেন। তিন দিন পর গতকাল রবিবার রাতে মেয়েটিকে উদ্ধার করে পুলিশ। সেই সঙ্গে ওই যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা নেওয়া হয়।
আজ সোমবার সকালে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য মেয়েটিকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঘটনাটি ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের চরআলগী গ্রামের।
স্থানীয় সূত্র ও মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, প্রতারণা ও ধর্ষণের শিকার ওই মেয়েটি স্কুল পড়ার সময় প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে পাশের চরআলগী গ্রামের মো. কাজিম উদ্দিনের ছেলে দেলোয়ার হোসেনের (২৮) সঙ্গে। বর্তমানে মেয়েটি ময়মনসিংহের একটি ঐতিহ্যবাহী কলেজে সম্মানের শিক্ষার্থী।
মেয়েটি জানান, স্থানীয় স্কুল থেকে এসএসসি পাস করে ময়মনসিংহ জেলা শহরে চলে যান। সেখানে একটি মেসে থেকে পড়ালেখা করতে থাকেন। এর মধ্যে দেলোয়ারের একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি হলে তাঁকে বিয়ে করার কথা বলে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এর মধ্যে ওই মেয়ে বিয়ের জন্য চাপ দিলে বিভিন্ন টালবাহানায় কালক্ষেপণ করতে থাকেন। এর মধ্যে মেয়েটি জানতে পারেন, প্রেমিককে অন্যত্র বিয়ে করানোর জন্য পরিবারের লোকজন পাত্রী দেখা শুরু করেছে। এ অবস্থায় গত বুধবার নিশ্চিত হন প্রেমিকের বিয়ের দিন ধার্য হয়েছে ২৬ মে। পরে ঘটনাটি শতভাগ নিশ্চিত হতে তিনি দেলোয়ারকে ফোন করলে ফোন রিসিভ না করায় গত শুক্রবার বিয়ের দাবি নিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নেন তিনি।
ঘটনাটি পুলিশ জানতে পেরে ওই মেয়ের কাছ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ নিয়ে গতকাল রবিবার রাতে উদ্ধার করে থানায় আনে। পরে তাঁর দেওয়া লিখিত অভিযোগটি এফআইআরভুক্ত করে আজ সোমবার সকালে তাঁকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জহিরুল ইসলাম মুন্না জানান, অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।