নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে ছাগলে ধান খাওয়ার ঘটনায় প্রতিপক্ষের দায়ের কোপে এক কিশোরী (১৬) আহত হয়েছে। ওই উপজেলার রামজীবনপুর গ্রামে শুক্রবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে ঘটনার রাতেই মোহনগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
জানা যায়, আহত কিশোরী এলাকার একটি বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত।
অভিযুক্তের নাম মুন্না মিয়া (২০)। তিনি রামজীবনপুর গ্রামের তাইজ্জুত আলীর ছেলে।
আহত কিশোরীর মায়ের অভিযোগ, শুক্রবার বিকালে আমাদের একটি ছাগল মুন্নাদের ধানক্ষেতে যায়। মুন্না ছাগলটিকে ধরে নিয়ে তাদের বাড়িতে বেঁধে রাখে। সন্ধ্যার দিকে আমার মেয়ে ছাগলটিকে আনতে যায়। এ সময় মুন্না প্রথমে আমার মেয়েকে লাঠি দিয়ে পেটায় ও পরে দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। তাকে উদ্ধার করে মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য প্রকল্প হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
চিকিৎসক ডা. শহীদুল্লাহ্ বলেন, ‘কিশোরীর কপালে গভীর কাটা দাগ আছে। পাঁচটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। ‘
এ ব্যাপারে জানার জন্য অভিযুক্ত মুন্নার মুঠোফোনে কল করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। মুন্নার পিতা তাইজ্জুত মিয়া জানান, বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করা হবে।
মোহনগঞ্জ থানার ওসি রাশেদুল হাসান বলেন, ‘ছাগলে ধান খাওয়ার ঘটনায় ওই ছাত্রী ও মুন্নার স্বজনদের মধ্যে মারামারি হয়। এ ঘটনায় ছাত্রীটি আহত হয়েছে। এ ব্যাপারে ছাত্রীর পিতা শফিকুল বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেছেন। তদন্তের জন্য আমাদের ফোর্স ঘটনাস্থলে কাজ করছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন।