1. najmush71@gmail.com : admin : Najmush Shakeer
  2. munir2002lubnan@gmail.com : Munirul Huq Khan : Munirul Huq Khan
শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:১১ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ

মাছ বিক্রি বন্ধ করে বিক্ষোভ ব্যবসায়ীদের

রিপোর্টার
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২২

বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিন কিশোরগঞ্জ শহরে ইজারাজুলুমের প্রতিবাদে মাছ বিক্রি বন্ধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ব্যবসায়ীরা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের বড়বাজার মাছমহালে মাছ ব্যবসায়ীরা এ প্রতিবাদ সমাবেশ করে। তারা এ সময় ইজারাদারদের অতিরিক্ত ইজারা আদায় বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত মাছ বিক্রি করবে না বলে ঘোষণা দেয়।

জানা গেছে, নতুন বাংলা সনের জন্য কিশোরগঞ্জ শহরের পুরান থানা ১৪ লাখ, বড়বাজার ২১ লাখ ও কাচারিবাজার মাছমহাল ৭লাখ টাকায় ইজারা দেওয়া হয়।

দুপুরের দিকে বড়বাজার মাছমহালে ইজারাদারদের লোকজন টোল বা খাজনা তুলতে গেলে বিপত্তি বাঁধে। তারা পৌরসভা নির্ধারিত টোলের চেয়ে অনেক বেশি টোল দাবি করলে মাছ ব্যবসায়ীরা তা দিতে অস্বীকৃতি জানায়।

কিশোরগঞ্জ শহর মাছ বাজার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক মো. মুকসেদ মিয়া জানান, পৌরসভার নির্ধারিত টোল বড় মাছের ক্ষেত্রে প্রতি ভিটি পাঁচ টাকা। আর ছোট মাছের ক্ষেত্রে চার টাকা। এভাবেই এতদিন টোল দিয়ে যাচ্ছিলেন তারা। তবে নতুন ইজারাদার নিয়োগের পর তারা প্রতি ভিটি দেড়শ থেকে দু’শ টাকা দাবি করে। এত বেশি টাকা টোল দিয়ে ব্যবসা করা তাদের পক্ষে কঠিন। তাই তারা এর প্রতিবাদ করেছেন। আর এ কারণে ইজারাদারের লোকজন তাদের ওপর চড়াও হয়। এ কারণে তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য মাছ বিক্রি বন্ধ করে বিক্ষোভ করেছেন। এ সময় তিনি আরো বলেন, পৌরসভা নির্ধারিত টোলের চেয়ে বেশি টোল তারা দেবে না।

এসব নিয়ে দুপক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিলে বড়বাজারে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মাছ ব্যবসায়ীরা মাছমহাল বন্ধ করে বিক্ষোভ মিছিলে যোগ দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। পরে শহরের বড়বাজার, পুরানথানা ও কাচারিবাজারের মাছ ব্যবসায়ীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সদর থানার সামনে অবস্থান নেয়।

কিশোরগঞ্জ শহর মাছ বাজার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি মো. আলম মিয়া বলেন, কোনোদিন ইজরাদারদের সঙ্গে টোল নিয়ে আমাদের কোনো ঝামেলা হয়নি। তবে নতুন ইজারাদাররা বছরের প্রথম দিনেই আমাদের ওপর অস্বাভাবিক হারে টোলের বোঝা চাপিয়ে দেয়। যা আমাদের পক্ষে দেয়া সম্ভব নয়। বাধ্য হয়ে আমরা ধর্মঘটে নেমেছি।

এ বিষয়ে বড়বাজার মাছমহালের ইজারাদার আরিফুল ইসলাম আরজু বলেন, আমার জানা মতে আগে মাছ ব্যবসায়ীরা এক থেকে দেড়শ টাকা হারে টোল দিত। আমাদের এ হারে টোল না দিলে পৌরসভার মেয়র যে সিদ্ধান্ত দেবেন, তা-ই আমরা মেনে নেব। অথবা ইজারা বাতিলের জন্য পৌর মেয়রের কাছে আবেদন করব। তবে মাছ ব্যবসায়ীরা ইজারাদারের বক্তব্যকে মিথ্যা দাবি করে বলেন, তারা কোনোদিন এক-দেড় শ টাকা হারে টোল দেয়নি।

এদিকে কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. পারভেজ মিয়া বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। তবে পৌরসভা নির্ধারিত টোলের চেয়ে বেশি টোল আদায়ের কোনো সুযোগ নেই। অভিযোগ সত্য হলে ইজারাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩ আঙ্গর টিভি