নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে এক কলেজছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে এক কলেজছাত্রের নামে মামলা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার রাতে ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে মোহনগঞ্জ থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। গত মঙ্গলবার রাতে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
অভিযুক্ত শাহীন উপজেলার সমাজ-সহিলদেও ইউনিয়নের বাসিন্দা। স্থানীয় কলেজের একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, মঙ্গলবার রাতে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ফুসলিয়ে ওই ছাত্রীকে পাশের একটি ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে সেই কলেজছাত্র। পরে বিয়ের করতে অস্বীকৃতি জানায়।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, ওই ছাত্র-ছাত্রী প্রতিবেশী। গোষ্ঠী সম্পর্কে চাচাতো ভাই-বোন। একই বিদ্যালয় থেকে একই সময় এসএসসি পাস করেছে। ঘটনার পর স্থানীয়ভাবে ছেলে-মেয়েকে বিয়ে দিয়ে বিষয়টি আপোস মীমাংসার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ছেলেপক্ষ এতে রাজি না হলে মামলা করা হয়।
সমাজ-সহিলদেও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম খান সোহেল বলেন, ‘ছেলে-মেয়ে দুজনের মধ্যে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে বলে জেনেছি। পাশাপাশি তাদের ঘর। সম্পর্কেও আত্মীয়। ঘটনার দিন ছেলের ঘরেই মেয়েকে পাওয়া গেছে। ছেলের মা-বাবা বাড়িতে না থাকলে ওই মেয়ে ছেলের ঘরেই চলে আসতো। পরে ওইদিন অন্যদের হাতে ধরা পড়েছে। আমার কাছে এসেছিল বিষয়টি সমাধান করার জন্য। আলোচনা করে ছেলে-মেয়েকে বিয়ে পড়িয়ে দিয়ে ঘটনা সমাধান করার কথা ভেবেছিলাম। শুক্রবার আমি ঢাকা চলে এসেছি। ঢাকা থেকে ফিরেই এই বিষয়টা সমাধান করবো বলে গিয়েছিলাম।’
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোহনগঞ্জ থানার এসআই মমতাজ উদ্দিন বলেন, মামলার পরপরই শাহীন পালিয়েছে। তাকে ধরতে অভিযান চলমান।