শেরপুরে নিজ কলেজের এক শিক্ষার্থীকে (১৬) বাসায় ডেকে এনে ধর্ষণ করেছে এক শিক্ষক। এরপর আরও দুইজন মিলে ওই শিক্ষার্থীকে আটকে রেখে গণধর্ষণ করে। অভিযুক্ত ওই শিক্ষক জোবায়ের হোসাইন শেরপুর নকলা উপজেলার চৌধুরী ছবরুন্নেছা মহিলা ডিগ্রি কলেজের আইসিটি বিষয়ের শিক্ষক। অপর দুইজন শেরপুর শহরের গৌরিপুর মহল্লার লুৎফর রহমান ও আবু রাহাত।
শিক্ষক জোবায়ের জেলার শ্রীবরর্দী উপজেলার রাণি শিমুল ইউনিয়নের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সুরুজ্জামানের ছেলে। তিনি এক সন্তানের জনক। অভিযুক্তদের মধ্যে ওই শিক্ষক ও লুৎফর রহমানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অপরজন পলাতক আছেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার (৩০ মার্চ) দিবাগত রাতে শেরপুর শহরের গৌরিপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় শেরপুর সদর থানায় নিয়মিত মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষককে কলেজ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যার দিকে ওই শিক্ষক ভিকটিমকে নকলা থেকে শেরপুর শহরের গৌরিপুরস্থ ভাড়া বাসায় ডেকে আনে। তারপর নানা প্রলোভনে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। বিষয়টি বাসার মালিক লুৎফর রহমান বুঝতে পেরে তার বন্ধু আবু রাহাতকে খবর দেয়। এরপর লুৎফর ও রাহাত শিক্ষক-ছাত্রীর ধর্ষণের বিষয়টি ফাঁস করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে মেয়েটিকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। রাত দশটার দিকে ভিকটিমকে মোটরসাইকেল যোগে নকলা পর্যন্ত এগিয়ে দেয় ওই শিক্ষক। মেয়েটি বাসায় পৌঁছে ঘটনা স্বজনদের বলে।
স্বজনদের সহযোগীতা নিয়ে ওই শিক্ষার্থী ৯৯৯ এ ফোন করলে রাতেই কলেজ শিক্ষককে গ্রেফতার করে নকলা থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে শেরপুর থেকে বাসার মালিক লুৎফরকে গ্রেফতার করে সদর থানা পুলিশ। লুৎফর স্থানীয় আব্দুর রহিমের ছেলে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শেরপুর সদর থানার ওসি মনসুর আহাম্মেদ বলেন, অভিযুক্তদের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অপর অভিযুক্ত রাহাতকে পুলিশ খুঁজছে।