ময়মনসিংহের গফরগাঁও থানা পুলিশ পারভীন আক্তার (৪০) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
আজ বুধবার দুপুরে উপজেলার পশ্চিম গফরগাঁও গ্রাম থেকে এই লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত পারভীন আক্তার ঐ গ্রামের রিকসা চালক লিটন মিয়ার স্ত্রী। তবে নিহতের বাবার বাড়ির লোকজনের সন্দেহ হত্যা করা হয়েছে।
থানা ও নিহতের স্বজনদের সূত্রে জানা যায়, অনটনের সংসারে প্রায়ই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হতো। মঙ্গলবার সামান্য ঘটনা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বসচা হয়। এর জের ধরে বুধবার সকালে আবারো বাক-বিতণ্ডা ও ধাক্কা-ধাক্কি হয়। এক পর্যায়ে পারভীন ঢলে পড়ে মারা যান। মৃত্যুর খবর পেয়ে তার বাবার বাড়ির লোকজন এলেও তাদের লাশ দেখতে দেয়নি লিটনের পরিবারের লোকজন।
খবর পেয়ে গফরগাঁও থানার পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন সঙ্গীয় ফোর্সসহ গোসল করানোর প্রস্তুতির সময় লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
নিহতের বড় ভাই দুলাল মিয়া ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, আমরা খবর পাইয়া আইলেও বইনের লাশ দেখবার দিছে না। লিটন আমার বইনেরে মাইর-ধর করত। বইনেরে মাইরালছে কিনা আল্লাই জানে। আমরা বিচার চাই।
গফরগাঁও থানার ওসি ফারুক আহম্মেদ বলেন, শুনেছি নিহত গৃহবধূর শ্বাসকষ্ট ছিল। সম্ভবত ঝগড়ার সময় শ্বাস বন্ধ হয়ে মারা গেছেন। তবু আমরা লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছি। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর সঠিক কারণ জানা যাবে। সে অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।