ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে যৌতুকের দাবিতে ফাতেমা আক্তার (২৩) নামে এক সন্তানের জননীকে পিটিয়ে আহত করেছে স্বামী। পরে ফাতেমার দায়ের করা মামলায় স্বামী মোবারককে (২৬) গ্রেপ্তার করেছেন পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) তাকে ময়মনসিংহ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চরআলগী টেকিরচর গ্রামের লোকমান সর্দার ওরফে বিসমিল্লাহর ছেলে মোবারকের সাথে উথুরী গ্রামের জহুর উদ্দিনের মেয়ে ফাতেমার প্রায় দুই বছর আগে বিয়ে হয়।
বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই ৩ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে ফাতেমার ওপর মোবারক অত্যাচার-নির্যাতন শুরু করে। এ অবস্থায় ওই দম্পতির ঘরে মুক্তামনি (৯ মাস) নামে এক কন্যা শিশুর জন্ম হয়। শিশু জন্মের পরও ফাতেমার ওপর মোবারকের অত্যাচার চলতে থাকে। পরে ফাতেমার বাবা-মা মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে মোবারককে দুই লাখ টাকা প্রদান করেন। কিন্তু দাবীকৃত আরও এক লাখ টাকার জন্য মোবারক ও তার পরিবারের লোকজন ফাতেমাকে মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার অব্যাহত রাখে।
গত ১৫ মার্চ রাতে মোবারক পুনরায় ফাতেমাকে নির্যাতনে আহত করে। প্রতিবেশীদের মাধ্যমে খবর পেয়ে ফাতেমার বাবা-মা মেয়েকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দিয়ে নিজ বাড়িতে নিয়ে যান। গতকাল বুধবার (২৩ মার্চ) এ ঘটনায় ফাতেমা বাদি হয়ে মোবারকের বিরুদ্ধে গফরগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই দিন রাতে পুলিশ মোবারককে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসেন।
ফাতেমা আক্তার বলেন, আমার বাবা-মা গরিব মানুষ। তিন লাখ টেহা দেওয়ার সাধ্য নাই। অনেক কষ্ট কইরা দুই লাখ টেহা দিছি। কিন্তু আরও এক লাখ টেহার লাইগ্যা মোবারক আমারে মারতো। আমি এর বিচার চাই।
গফরগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ ফারুক আহম্মেদ বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলায় মোবারককে গ্রেপ্তার করে ময়মনসিংহ আদালতে পাঠানো হয়েছে।