ময়মনসিংহের ভালুকায় গলায় ফাঁস দিয়ে নাছিমা খাতুন (১৭) নামে এক দাখিল পরীক্ষার্থী ও কিটনাশক পানে সুমি আক্তার (১৭) নামে এক তরুণী আত্মহত্যা করেছে। গত বুধবার (২৩ মার্চ) উপজেলা মেদুয়ারী ইউনিয়নের সোয়াইল ও উথুরা ইউনিয়নের কৈয়াদী গ্রামে ওই দুটি ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় মডেল থানায় পৃথক অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার দুপুরে উপজেলার সোয়াইল পানিবান্ডা গ্রামের আব্দুর রশিদ শিকদারের মেয়ে নাছিমা খাতুন বসতঘরের আঁড়ার সাথে গলায় রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।
স্থানীয়রা জানান, বেশ কয়েকদিন আগে পাশের উথুরা গ্রামের রাজিব নামে এক ছেলের সাথে ওই তরুণীর বিয়ে হয়। নাছিমা খাতুনের বাবা রশিদ শিকদার জানান,তারা স্বামী- স্ত্রী একটি এনজিও অফিসে যান এবং পরে মোবাইলে খবর পেয়ে বাড়ি গিয়ে দেখেন ঘরের আঁড়ার সাথে রশি পেঁচিয়ে তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। তিনি আরো জানান, ২০/২২ দিন আগে মেয়েটিকে বিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু মেয়ের জামাইয়ের মাথায় একটু সমস্যা ছিলো। তবে, কি কারণে তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে, তা তিনি বলতে পারছেন না।
অপরদিকে, একই দিনে একই উপজেলার কৈয়াদী গ্রামের শাহ আলমের মেয়ে সুমি আক্তারকে বাড়ির পাশে সানু মিয়ার কলার বাগানে গিয়ে কীটনাশক পান করে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেলেই সুমি মারা যায়। স্থানীয়রা জানান, সুমিকে এক বছর আগে বাড়ির কাছেই এক ছেলের সাথে বিয়ে হয়। পারিবারিক কলহের জেরে সে বাবার বাড়ি এসে আত্মহত্যা করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ভালুকা মডেল থানার এসআই মোহাম্মদ রৌশন আলী জানান, লাশ দুটি উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এসব ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। আত্মহত্যার কারণ জানা যায়নি। তবে, এসব বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।