২০২১-২০২২ সালের জন্য সরকারের বিনামূল্যে দেওয়া বই বিক্রির চেষ্টার অভিযোগে ময়মনসিংহের ত্রিশালের এক মাদ্রাসা সুপারকে শোকজ করা হয়েছে। গত শনিবার উপজেলার হদ্দের ভিটা দাখিল মাদ্রাসায় ওই মাদ্রাসা সুপার (ভারপ্রাপ্ত) আয়্যুব আলীর নির্দেশে পাঁচ বস্তা বই বিক্রি করছিলেন দপ্তরী ফারুক হোসেন। এ ঘটনায় মাদ্রাসার সুপারকে শোকজ করেছে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান আনাম।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে তিনি জানান, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা এ বছর ২০১৯ সাল পর্যন্ত পরিত্যক্ত বই বিক্রি করতে পারব। তবে মাদ্রাসার সুপার যে কাজ করেছে তা দুঃখজনক। এ বিষয়ে সোমবার তাকে শোকজ করা হয়েছে। তিন কার্যদিবসের মধ্যে তাকে জবাব দিতে বলা হয়েছে। তার জবারের পর আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
জানা যায়, গত শনিবার শবে বরাতের বন্ধে পাঁচ বস্তা বই কেজি ধরে বিক্রি করার সময় হাতেনাতে দপ্তরী ফারুক হোসেনকে আটক করে এলাকাবাসী। এসময় এলাকাবাসীর তোপের মুখে বই বিক্রি বন্ধ করে গোডাউনে তালা লাগিয়ে পালিয়ে যায় মাদ্রাসা সুপার। পরে রবিবার উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গিয়ে বইসহ গোডাউন সিলগালা করে দেন।
গোডাউনে ২০২১ সালের বিভিন্ন শ্রেণির প্রায় দুই হাজার ও ২২ সালের শতাধিক বই বিক্রির জন্য বস্তাবন্দি করা ছিল। এছাড়াও ২০২২ সালের প্রায় দুই হাজার বই ছিল।
মাদ্রাসার দপ্তরী ফারুক হোসেন জানান, শনিবার সকালে মাদ্রাসায় এসে আমাদের বই বস্তাবন্দী করে মাপামাপি করতে বলে মাদ্রাসার সুপার। জানতে চাইলে তিনি বলেন এই বইগুলো বেড়ে গেছে তাই বিক্রি করে দেব। এজন্য আমরা পাঁচ বস্তা বই বিক্রির জন্য রেডি করি।
স্থানীয় এলাকাবাসী নাজিম উদ্দিন, জামাল উদ্দিন ও ফরহাদ হোসেন জানান, বই বিক্রিতে আমরা বাধা দিলে গোডাউনে তালা লাগিয়ে মোবাইল কানে নিয়ে পালিয়ে যায় সুপার। পরে আমরা গোডাউনে আরেকটি তালা লাগিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে খবর দেই।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে মাদ্রাসার (ভারপ্রাপ্ত) সুপার আয়্যুব আলী বলেন, আমি বই বিক্রির জন্য বস্তাবন্দী করিনি বরং বইগুলো অন্যত্র রাখার জন্য গোছাচ্ছিলাম। ২২ সালের এত বই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, করোনার জন্য বই বিতরণ করা হয়নি। এজন্যই এত বই স্টকে রয়ে গেছে।