ময়মনসিংহে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য পাবেন ৩ লাখ ২ হাজার ৯৭১ টি পরিবার। রোববার (২০ মার্চ) থেকে জেলার ১৩টি উপজেলা ও সিটি করপোরেশনের ৩৩ টি ওয়ার্ডের নির্ধারিত স্পটে ট্রাক সেলের মাধ্যমে প্রদান করা হবে টিসিবির পণ্য।
শনিবার (১৯ মার্চ) বেলা ১১ টায় নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক।
জেলা প্রশাসক বলেন, আসন্ন পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ কর্তৃক সারাদেশে এক কোটি নিম্ন আয়ের মানুষের নিকট ভর্তুকি মূল্যে পণ্য সামগ্রী বিতরণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ময়মনসিংহ জেলায় ৩ লাখ ২ হাজার ৯৭১ জনকে মন্ত্রণালয় থেকে নির্ধারিত হারে উপকারভােগী হিসেবে বাছাই করা হয়। এর মধ্যে ৭০ হাজার ৪০৯ জন সিটি করপোরেশনে এবং বাকি ২ লাখ ৩২ হাজার ৫৬২ জন বিভিন্ন উপজেলা ও পৌরসভা থেকে বাছাই করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনসহ ১৩ টি উপজেলা ও পৌরসভায় পণ্য বিতরণের জন্য মোট ৫৬৬ টি স্পট নির্ধারণ করা হয়েছে। পণ্য বিতরণের আগে উপকারভােগী বাছাই, পরিবার কার্ড পূরণ, ডিলার নিয়ােগ ও বরাদ্দ সংশ্লিষ্ট সকল কার্যক্রম বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত সকল নির্দেশনা অনুসারে সম্পন্ন করা হয়। প্রতি উপকারভোগীর জন্য দুই ধাপে পণ্য বিতরণ করা হবে।
প্রতি উপকারভোগী দুই কেজি হারে চিনি, মশুর ডাল এবং দুই লিটার সয়াবিন তেল সরকার নির্ধারিত মূল্যে কিনতে পারবেন। এক্ষেত্রে চিনি প্রতি কেজি ৫৫ টাকা, মশুর ডাল প্রতি কেজি ৬৫ টাকা এবং সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১১০ টাকা হারে নির্ধারণ করা হয়েছে। পণ্য সংরক্ষণ ও প্যাকেজিং এর জন্য জেলা খাদ্য গুদামাগার থেকে ৫ টি গুদাম ব্যবহার করা হচ্ছে। টিসিবি থেকে প্রাপ্ত নমুনা অনুযায়ী প্যাকেট সংগ্রহ করা হয় এবং দুই কেজি করে পণ্য প্যাকেটজাত করা হয়। জেলা খাদ্য গুদামাগারে রাত-দিন দুই শিফটে শ্রমিক নিয়ােগ করে পণ্য বিতরণের লক্ষ্যে প্যাকেটজাত করা হচ্ছে।
প্যাকেজিং প্রক্রিয়া যথাযথ ও স্বচ্ছ হচ্ছে কিনা তা তদারকি করার জন্য তিন শিফটে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা কর্মচারীসহ অন্যান্য সকল উপজেলা থেকে কর্মচারী নিয়ােগ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও কার্ডধারীরা যেনো ভোগান্তি ছাড়াই পণ্য পেতে পারে সেজন্য মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম, উপ-পরিচালক (স্থানীয় সরকার) মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সমর কান্তি বসাক, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আয়েশা হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পুলক কান্তি চক্রবর্তী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।