নান্দাইলে দুর্বৃত্তরা স্বামী-স্ত্রী দুজনকে কুপিয়ে জখম করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে নান্দাইল পৌর সদরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পোড়াবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন পোড়াবাড়িয়া গ্রামের মো. আবুল হোসেন (৫০) ও তাঁর স্ত্রী মোছা. আসমা খাতুন (৪৫)। বর্তমানে তাঁরা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন স্থানীয় আবু সাহেদ, রিপন ও মাসুদ মিয়া।
আহতদের পরিবার বলছে, সোমবার বিকেলে টাকা নিয়ে পোড়াবাড়িয়া গ্রামের হাসু মিয়ার ছেলে আবু সাঈদ, মতিন মিয়ার ছেলে মাসুদ মিয়া ও রিপনের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয় আবুল হোসেনের। একপর্যায়ে আবু সাঈদ আবুল হোসেনকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসিয়ে দেবেন বলে হুমকি দেন। এই হুমকিতে আবুল হোসেন প্রতিবাদ করে বলেন, যারা মাদক ব্যবসা করে তাদের পুলিশের কাছে ধরিয়ে দেবেন তিনি। পরে রাত ১২টার দিকে মোবাইল ফোনে কল দিয়ে আবুল হোসেনকে ঘরের বাইরে ডেকে নেয় আবু সাঈদ। তাকে বাড়ির পাশে ঝোপের ধারে নিয়ে গেলে সেখানে ঝোপের মধ্যে লুকিয়ে থাকা কয়েকজন তাকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এ সময় স্বামীকে বাঁচাতে গেলে স্ত্রী আসমা খাতুনকেও কুপিয়ে জখম করে। তাঁদের চিৎকারে পরিবারের ও আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা স্বামী-স্ত্রীকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। পরে অবস্থার অবনতি হতে থাকলে তাঁদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতাল ভর্তি করা হয়।
মমেকে চিকিৎসাধীন আবুল হোসেন বলেন, ‘তারা মাদকের ব্যবসা করে। আমি প্রতিবাদ করেছি বলে রাতের বেলায় ঘর থেকে ডেকে নিয়ে আমাকে ও আমার স্ত্রীকে কুপিয়েছে!’
আহত আবুল হোসেনের ছেলে মো. যুবরাজ বলেন, ‘আমার বাবা-মাকে যারা নির্মমভাবে কুপিয়েছে, তাদের বিচার চাই। আমি এখন হাসপাতালে আছি, এ বিষয়ে বাড়িতে এসে আপনাদের বলব। শুনলাম অভিযুক্তরা বাড়ি থেকে জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে।’
আহত আবুল হোসেনের মেয়ে ঝুমা খাতুন বলেন, ‘আমি ঘুমের মধ্যে ছিলাম। পরে বাবা আমাকে ডাকতে শুরু করে। আমি ঘুম থেকে উঠে দেখি বাবা-মাকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে পালিয়ে গেছে।’
অভিযুক্ত আবু সাহেদ, রিপন ও মাসুদ মিয়া ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন।
এ বিষয়ে নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান আকন্দ বলেন, ‘ঘটনার খবর শুনেছি। এ ব্যাপারে থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’