ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে এক কিশোরীকে ধর্ষণের পর সালিশ বৈঠকে মীমাংসা করায় বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন নির্যাতিত ওই কিশোরী। পরে পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেলে নিয়ে যায়। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন আছে কিশোরীটি।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায় সে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মামা বাদী হয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল কাদের মিয়া জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের একটি গ্রামে ওই কিশোরীর বাবা মা মারা যাওয়ায় মামার বাড়িতে থেকে একটি স্কুলে পড়াশোনা করে আসছে। এরই মধ্যে ওই গ্রামের হাফিজ উদ্দিনের ছেলে উমর ফারুক (২২) এর সাথে পরিচয় হয়। কিন্তু উমর ফারুক বিবাহিত ও তার দু’টি বাচ্চার কথা গোপন করে ওই কিশোরীকে বিয়ে করার প্রলোভনে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। পরে গত শুক্রবার ভোরে উমর ফারুক ওই কিশোরীর সাথে দেখা করতে বাড়িতে গিয়ে ডেকে নিয়ে একটি রুমে কথা বলতে থাকে। এ সময় বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ধর্ষণ করে সে। এ সময় ভুক্তভোগীর ডাক চিৎকারে তার মামাসহ পরিবারের অন্যান্য লোকজন এসে উমর ফারুককে আটক করে।
এ ঘটনায় স্থানীয় মাতব্বররা তাদের বিয়ে করতে হবে জানিয়ে সিদ্ধান্ত দিয়ে মীমাংসা করে দেন। কিন্তু উমর ফারুকের স্ত্রী সন্তান থাকায় বিয়েতে রাজি হয়নি ওই কিশোরী। পরে শুক্রবার রাতেই নির্যাতিতা বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে পরিবারের লোকজন তার চিকিৎসার জন্য ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে পরিস্থিতির আরও অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।