শেরপুরে স্কুলের বেতন দিতে দেরি করায় মায়ের সঙ্গে অভিমান করে মোছা দিশা (১১) নামে এক স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। আজ সোমবার দুপুরে সদর উপজেলার ভাতশালা ইউনিয়নের ভাতশালা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। দিশা স্থানীয় মো. ইসমাইল হোসেন টিটু মিয়ার মেয়ে। সে পার্শ্ববর্তী সাপমারী এলাকার নতুন কুঁড়ি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তিন ভাইবোনের মধ্যে দিশা সবার ছোট। আজ সকালে দিশার মা লিপি বেগম তাকে স্কুলে যেতে বলে। কিন্তু স্কুলের বেতন না দিলে স্কুলে যাবে না বলে জানায় দিশা। এতে তার মা ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে বকাবকি ও একটি চড় দেয়। অভিমানে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে গোয়াল ঘরে গিয়ে গলায় ফাঁস দেয় সে। স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে ভাতশালার জিনোম হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দিশাকে মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে সদর থানার পুলিশের উপপরিদর্শক (তদন্ত) বন্দে আলী মিয়া বলেন, স্কুলছাত্রীর মরদেহ তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
পুলিশের পরিদর্শক আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, স্কুলের বেতন দিতে দেরি করায় অভিমান করে সে আত্মহত্যা করেছে।