লাইফস্টাইল ডেস্ক : গরম ভাতের সঙ্গে যেকোনো শাক ভাজি হলে আর কিছুর প্রয়োজন পড়ে না বেশিরভাগ বাঙালির। আবার গ্রামের পথেঘাটে, পুকুরপাড়ে নিজ থেকেই বেড়ে ওঠে অনেক উপকারী শাক। সেসব শাকের উপকারিতা সম্পর্কে আমরা খুব বেশি জানিও না। তেমনই একটি শাক হলো বথুয়া।
বথুয়া শাক আলাদাভাবে চাষ করা হয় না। একটা সময় শুধু শীতকালেই দেখা মিলতো এই শাকের। এখন অবশ্য সারাবছরই পাওয়া যায় বথুয়া শাক।
এই শাকে আছে প্রচুর ভিটামিন এ, সি, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, অ্যামাইনো অ্যাসিড, ফসফরাস, জিংকের মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। বথুয়া শাকে রয়েছে অসংখ্য উপকারিতা। চলুন কিছু উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক-
রান্না করতে গিয়ে একটু অসাবধানতায়ই ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। পুড়ে যাওয়া ত্বকের যন্ত্রণা কমাতে কাজ করে এই বথুয়া শাক। গরম পানি পড়ে ত্বকের কোনো অংশ পুড়ে গেলে বা ফোসকা পড়লে ওই অংশে বথুয়া শাক বেটে আলতো করে মাখিয়ে দিন। তাতে ত্বকের জ্বালা ভাব দ্রুত কমে যাবে।
নানা কারণেই হতে পারে মুখে ঘা। এর কারণে খাবার খেতে অসুবিধাসহ আরও অনেক সমস্যা হয়। সময়মতো না সারালে এই ঘা থেকে আরও বড় অসুখ হতে পারে। মুখে ঘা হলে বথুয়া শাক চিবিয়ে খান। চাইলে ঝালছাড়া রান্না করেও খেতে পারেন। এতে ঘা দ্রুত সেরে যাবে।
প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া নিয়ে সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। এই সমস্যা দূর করতে হলে বথুয়া শাক বেটে তার সঙ্গে ২ চামচ জিরার গুঁড়া, ২ চামচ লেবুর রস মিশিয়ে শরবত বানিয়ে খান। দিনে অন্তত দু’বার এই শরবত খেতে পারলে এই সমস্যা দূর হবে।
কিডনিতে পাথর হলে খাবারের ব্যাপারে থাকতে হবে বাড়তি সতর্ক। কিছু খাবার আছে যা এই সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। তেমনই একটি হলো বথুয়া শাক। কিডনিতে পাথর হলে প্রতিদিন ১ কাপ বথুয়া শাকের রস খেলে উপকার মেলে।
ত্বকে শ্বেতির সমস্যা দেখা দেয় কারও কারও ক্ষেত্রে। এই সমস্যা নিরাময়ে কাজ কর বথুয়া শাক। এই শাকের পেস্ট তৈরি করে আক্রান্ত স্থানে নিয়মিত ব্যবহার করলে উপকার মেলে।