নিরাপত্তা চেয়ে ময়মনসিংহের ত্রিশাল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত ১৫ সাংবাদিক।
শনিবার (৫ মার্চ) সন্ধ্যায় সাধারণ ডায়েরিটি গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিউটি অফিসার এফ এম তানভীর আলম। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবরও একটি লিখিত অভিযোগ জানায় ১৫ সাংবাদিক।
সাধারণ ডায়েরিতে উল্লেখ করা হয়, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ওয়ালিদ নিহাদের উপর নির্যাতনের অভিযোগ উঠলে জড়িতদের বিচার দাবি করে আন্দোলন করছে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আন্দোলনে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে যোগ না দিতেও হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠে। এরই মধ্যে শুক্রবার আরেক শিক্ষার্থীকে ডেকে নিয়ে বঙ্গবন্ধু হলে জোর করিয়ে লিখিত বক্তব্য নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। যেখানে সেই শিক্ষার্থীকে দিয়ে জোর করিয়ে সংবাদকর্মীর নাম উল্লেখ করিয়ে বিভিন্ন আপত্তিকর বক্তব্য লিখিয়ে নেয়া হয় যা স্বীকার করেছে ওই শিক্ষার্থী। এছাড়া হুমকি প্রদানেরও অভিযোগ উঠেছে আন্দোলন নিয়ে সংবাদ প্রকাশকে কেন্দ্র করে। এই ঘটনায় নিজেদের অনিরাপদ মনে করছেন সাংবাদিকেরা।
১৫ সাংবাদিকদের মধ্যে রয়েছেন- দৈনিক দেশ রূপান্তর প্রতিনিধি নিহার সরকার অংকুর, আমার সংবাদের হাবিবউল্লাহ বেলালি, যায়যায়দিনের বায়েজিদ হাসান, খোলা কাগজের তিতলি দাস, একুশে টিভি অনলাইনের আশিক আরেফিন, দৈনিক সময়ের আলোর আশিকুর রহমান, বাংলা ভিশন অনলাইনের জিসাদুজ্জামান জিসান, বাংলা ট্রিবিউনের মো. ওয়াহিদুল ইসলাম, দৈনিক অধিকারের সরকার আব্দুল্লাহ তুহিন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের ফটোগ্রাফার মোস্তাফিজুর রহমান ও নওশাদ, প্রেসক্লাবের সদস্য সিফাত শাহরিয়ার প্রিয়ান, নওয়াব শওকত জাহান কিবরিয়া, শর্মিষ্ঠা ভট্টাচার্য ও ফজলুল হক পাভেল।
এ বিষয়ে জানাতে চাইলে সংবাদকর্মীরা বলেন, আমরা ওয়ালিদ নিহাদের উপর নির্যাতনের ঘটনার সংবাদ করায় বিভিন্নভাবে তারা সাংবাদিকদের উপর চাপ সৃষ্টি করছে। যা গত শুক্রবার সীমানা ছাড়িয়ে গেছে। ওইদিন রাতে এক শিক্ষার্থীকে দিয়ে জোর করিয়ে তাকে দিয়ে লিখিয়ে নেয় যে এই আন্দোলনে বিশৃঙ্খলা করার পরিকল্পনা রয়েছে। যার নেতৃত্বে সাংবাদিক রয়েছে। এই ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
এদিকে এই ঘটনার ব্যাপারে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়টির রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. হুমায়ুন কবীর বলেন, তাদের যা অভিযোগ তা প্রক্টর মহোদয়ের কাছে জমা দিলেই হবে। তখন তা চলমান তদন্তের সঙ্গেই কাজ করবে।
বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রক্টর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। খতিয়ে দেখে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
আগামীকাল রোববার ওয়ালিদ নিহাদের উপর নির্যাতনের ঘটনায় তদন্তের পর শাস্তির বিষয় নিশ্চিত করার কথা রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্যের।