কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটি থেকে ১০ জন সদস্য পদত্যাগ করেছেন। আজ সোমবার উপজেলা সদরের বঙ্গবন্ধু চত্বরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে একযোগে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তারা।
পদত্যাগকারীরা হলেন- কমিটির সদস্য পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রেণু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট হুমায়ুন কবীর, জেলা শ্রমিক লীগের উপদেষ্টা আতাউল্লাহ সিদ্দিক মাসুদ, পাকুন্দিয়া পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম আকন্দ, মুসলে উদ্দিন, শামসু উদ্দিন, শাহাব উদ্দীন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহাব উদ্দিন, সফিকুল ইসলাম ও মো. শাহাব উদ্দীন।
সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রেণু কমিটি গঠনের পরদিনই তিনি নিজে পদত্যাগ করেছিলেন উল্লেখ করে বলেন, যে কমিটিতে বিএনপি-জামায়াতের লোকজনকে রাখা হয়েছে, সে কমিটিতে আমি থাকতে পারিনা। আজ আবারও অপর ৯ জনের সাথে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বলে জানান।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, বিগত পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আহ্বায়ক সোহরাব সাহেব নৌকার পক্ষে নির্বাচন তো করেনইনি, বরং তার লোকজনকে দিয়ে নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করিয়েছেন। আতাউল্লাহ সিদ্দিক মাসুদ বলেন, ৯০ দিনের জন্য আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছিল। এই ৯০ দিনে আহ্বায়ক সোহরাব সাহেব আমাদের সাথে কোনো যোগাযোগ করেননি। বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের নিয়ে শুধু গ্রুপিং করেছেন। শুধু তাই নয়, সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদের সাথেও দলীয় কর্মকাণ্ড নিয়ে কোন যোগাযোগ তিনি করেননি।
পাকুন্দিয়া উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাজী মকবুলকে উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির ১৪ নম্বর সদস্য করা হয়েছে উল্লেখ করে আতাউল্লাহ সিদ্দিক মাসুদ বলেন, আওয়ামী লীগের পোর খাওয়া লোকদের কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়নি। আগামীতে গণহারে পদত্যাগ করা হবে।
পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম আকন্দ বলেন এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান, মেয়র এমনকি দলের নেতাদের সাথে আহ্বায়ক সোহরাব সাহেবের কোনো সমন্বয় নেই। আগামীতে নূর মোহাম্মদ এমপির নেতৃত্বে যে কমিটি গঠন করা হবে, সে কমিটিই পাকুন্দিয়ায় কার্যক্রম পরিচালনা করবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এডভোকেট হুমায়ুন কবীর বর্তমান আহ্বায়ক কমিটিকে অবৈধ আখ্যা দিয়ে বলেন, প্রকাশ্য সম্মেলন করে কমিটি দিতে হবে।
এ সময় বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন। পদত্যাগের বিষয়ে কমিটির আহ্বায়ক এডভোকেট সোহরাব উদ্দিন বলেন, তারা যে পদত্যাগ করবেন, সেটা আমি আগেই জানতাম। উল্লেখ্য, গত বছরের ২১ জুলাই জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এডভোকেট সোহরাব উদ্দিনকে আহ্বায়ক করে ৬৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।