কিশোরগঞ্জের অন্যতম ভাষা সংগ্রামী আশরাফুদ্দীন আহমদ ছিলেন নির্লোভ, স্পষ্টবাদী, সৎ ও আদর্শবান একজন শিক্ষক। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে তিনি মায়ের ভাষা বাংলাকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আন্দোলন করেছেন, জেলে গিয়েছেন। স্বাধীনতার স্বপ্নকে লালন করে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে কাজ করেছেন। হাসিমুখে নিজের ছেলেকে পাঠিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধে।
২৩ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এ কথাগুলো বলেছেন। বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বিটিএ) ও বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বাশিস) কিশোরগঞ্জ জেলা শাখা যৌথভাবে আজ রবিবার বিকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সভাটির আয়োজন করে।
জেলা শিক্ষক সমিতি (বাশিস) এর সভাপতি রাবেয়া আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মামুন আল মাসুদ খান, কিশোরগঞ্জ জেলা সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সভাপতি এডভোকেট অশোক সরকার, ভাষা সংগ্রামী আশরাফুদ্দীন আহমদ এর ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাব্বির আহমদ মানিক, ভাষা সংগ্রামী মিছির উদ্দীন আহমেদ এর ছেলে সাংবাদিক সাইফউদ্দীন আহমেদ লেনিন, তেজগাঁও মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, অবসর সুবিধা বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক নাজিম উদ্দিন তালুকদার, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিলকিস বেগম, জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বাচ্চু, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বিটিএ) কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য আবুল হাসেম, শিক্ষক নেতা আফাজুর রহমান, আব্দুর রহমান, মোকাররম হোসেন শোকরানা, মোস্তাফিজুর রহমান, আবু বকর সিদ্দিক, একেএম ফজলুল হক, কামাল উদ্দিন, আব্দুস সামাদ প্রমুখ।
বক্তারা আরও বলেন, স্বাধীনতার পর আশরাফুদ্দীন আহমদ সংসদ সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু সততা ও আদর্শ থেকে কখনও বিচ্যুত হননি। শিক্ষকতার মহান পেশাকে সমুন্নত রেখেছেন তিনি। বক্তারা মহান ভাষা আন্দোলন ও স্বাধীনতা সংগ্রামে বিশেষ অবদান রাখায় তাকে স্বাধীনতা পদক অথবা একুশে পদক প্রদানের জন্য দাবি জানান।
সভা সঞ্চালনা করেন জেলা শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর ও সহকারী অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম রুবেল।