নেত্রকোনার মদনে এক শিক্ষার্থীকে চার ডোজ টিকা দেওয়ায় অভিযুক্ত নার্সকে পাঁচ দিনেও শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। নির্ধারিত সময়ে তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা মদন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নেত্রকোনা সিভিল সার্জন মো. সেলিম মিয়া।
গত শনিবার নেত্রকোনার মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আদিবা বিনতে আজিজ নামে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে পরপর চার ডোজ টিকা দেওয়ার ঘটনা ঘটে।
পরদিন রবিবার নেত্রকোনা সিভিল সার্জন ডাক্তার মো. সেলিম মিয়া নেত্রকোনার আধুনিক সদর হাসপাতালের ডাক্তার অভিজিত লোহকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়। মঙ্গলবার তদন্ত কমিটি মদন উপজেলা হাসপাতালে এসে বিষয়টি তদন্ত করেন। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি কমিটি। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা রাজিয়া সুলতানা বুধবার মদন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। এদিকে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আদিবা বিনতে আজিজকে বৃহস্পতিবার উন্নত চিকিৎসার জন্য নেত্রকোনায় নিয়ে গেছে তার স্বজনরা।
শিক্ষার্থীর মা রাজিয়া সুলতানা বলেন, ‘চার ডোজ টিকা দেওয়ার পর তদন্ত কমিটি আমার মেয়ের লিখিত বক্তব্য নিয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত অভিযুক্ত নার্সকে শনাক্ত করা হয়নি। অভিযুক্তদের শনাক্ত করে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। ‘
তদন্ত কমিটির প্রধান ডাক্তার অভিজিত লোহ জানান, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। অভিযুক্ত নার্সকে শনাক্ত করা হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তদন্তের সুবিধার্থে আর কিছু বলা যাবে না।
এ ব্যাপারে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, ‘বিষয়টি তদন্ত কমিটি দেখবে। এ নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। ‘
মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম জানান, শিক্ষার্থীকে চার ডোজ টিকা দেওয়ার ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
নেত্রকোনা সিভিল সার্জন ডাক্তার মো. সেলিম মিয়া বলেন, ‘শিক্ষার্থীকে চার ডোজ টিকা দেওয়ার ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন এখনো পাইনি। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। ‘