কর্নাটকের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশের সময় গেরুয়া বাহিনীর কাছে উপহাসের শিকার হন মুসলিম ছাত্রী মুসকান খান। উগ্র হিন্দুত্ববাদী নানা স্লোগানে তাকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করেন তারা, কিন্তু তিনি ভড়কে না গিয়ে উল্টো সাহসী এক প্রতিবাদ করেছেন। ‘আল্লাহু আকবার’ বলতে বলতে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করেন।
মুসকানের সাহসী এই পদক্ষেপের জন্য তাৎক্ষণিক নগদ পাঁচ লাখ রুপি পুরস্কার ঘোষণা করে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ প্রধান আওলাদে রাসুল সাইয়েদ মাহমুদ আসআদ মাদানী। তার ফেসবুক পেজের এক পোস্টে এ ঘোষণা দেয়া হয়। পোস্টে ওই তরুণীকে অভিনন্দন জানিয়ে বলা হয় কর্ণাটক পিইএস কলেজ মান্ডিয়ার সাহসী ছাত্রী মুসকান খানকে তার সাহসী প্রতিবাদের জন্য আন্তরিক অভিনন্দন। তিনি নিজের সাহসের মাধ্যমে নিজের সাংবিধানিক ও ধর্মীয় অধিকারের পক্ষে আওয়াজ তুলেছেন।
তার উজ্জ্বল ভবিষ্যত কামনা করে জামিয়াত উলামা-ই-হিন্দের পক্ষ থেকে এই সাহসী কন্যাকে উৎসাহের জন্য নগদ পাঁচ লাখ রুপি পুরস্কার ঘোষণা করা হলো। আজ সন্ধ্যা নাগাদ সাহসী ওই তরুণীর হাতে সাইয়েদ মাহমুদ আসআদ মাদানীর পুরস্কারের পাঁচ লাখ রুপি তুলে দেয়া হয় বলে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ সূত্রে জানা গেছে। জমিয়ত উলামা কর্ণাটকের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা শামসুদ্দিন কাসেমী সূত্রে জানা গেছে, মাওলানা সাইয়েদ মাহমুদ আসআদ মাদানীর নির্দেশে মাওলানা মুফতি ইফতিখার আহমদ কাসেমীর একটি প্রতিনিধি দল জমিয়ত উলামায়ে হিন্দ ঘোষিত ৫ লাখ টাকার চেক মুসকানের কাছে হস্তান্তর করে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জমিয়ত উলেমা কর্ণাটকের নেতৃস্থানীয় ওলামায়ে কেরাম। গত মাসে উদুপি জেলার সরকারি বালিকা পিইউ কলেজে ছয়জন মুসলিম ছাত্রীকে হিজাব পরার কারণে শ্রেণিকক্ষের বাইরে বসতে বাধ্য করা হয়। সেই সময় কলেজ প্রশাসন জানায়, ইউনিফর্মের অংশ নয় হিজাব এবং ওই ছাত্রীরা কলেজের নিয়ম লঙ্ঘন করেছে।
ছাত্রীদের ক্লাসে হিজাব পরার বিষয়ে আপ’ত্তি জানায় স্থানীয় ডানপন্থী বিভিন্ন গোষ্ঠী। পরে এই রাজ্যের অন্যান্য এলাকাতেও হিজাব পরার বিরুদ্ধে গেরুয়া ওড়না পরে অনেক শিক্ষার্থী অবস্থান নিয়ে আন্দোলন শুরু করে। তারা কলেজে হিজাব নিষিদ্ধের দাবি তোলে এবং হিজাব বিরোধী বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেয়।