ঈশ্বরগঞ্জে সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সপ্তম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এগারোটি ইউনিয়নের ১৩টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ১১৬ টি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে তালিকায় রয়েছে প্রশাসনের। আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ভাংচুর ও সংঘর্ষ চলমান থাকায় নির্বাচনের দিনও ব্যপক সংঘর্ষের শঙ্কা তৈরি হয়েছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ম্যাজিষ্ট্রেট, বিজিবি, র্যাব, পুলিশ, আনসার মাঠে মোতায়েন রয়েছে।
ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীকের ১১ প্রার্থীসহ মোট চেয়ারম্যান প্রার্থী ৭৬ জন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে বিদ্রোহীদের সংখ্যাই বেশি। বিদ্রোহীদের কারণে কোণঠাসা আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীরা। ওই অবস্থায় নৌকা ডুবির শঙ্কা ইউনিয়ন গুলোতে। প্রশাসন ১১টি ইউনিয়নের ১২৩টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ১১৬টি ভোট কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ৫৩টি ভোট কেন্দ্র ও ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের তালিকায় রয়েছে ৬৩টি ভোট কেন্দ্র। ঝুঁকিমুক্ত ভোটকেন্দ্র রয়েছে মাত্র ৭টি ভোট কেন্দ্র। ১১টি ইউনিয়নে মোট ভোটার রয়েছে ২ লাখ ৪ হাজার ৫৮১ জন।
তফসিল ঘোষণার পর থেকেই ইউনিয়ন গুলোতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে বিবাদ শনিবার রাত পর্যন্ত ছিলো। গত শনিবার রাতে উপজেলার জাটিয়া, উচাখিলা ও রাজবিপুর ইউনিয়নে বিক্ষিপ্তি সংঘর্ষ হয়েছে। রাজিবপুরে পাল্টাপাল্টি হামলা ভাংচুরের ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। ওই অবস্থায় প্রতিটি ইউনিয়নে সংঘর্ষের শঙ্কা নিয়ে সোমবার ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাফিজা জেসমিন বলেন, বিশৃংখলা মোকাবেলায় ম্যাজিষ্ট্রেট ও আইনশৃংখলা বাহিনী মাঠে তৎপর রয়েছে।