জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় পরিত্যক্ত ইটভাটার পাশ থেকে মৌসুমী আক্তার নার্গিস (২০) নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তাঁর সাবেক স্বামী জাহিদ হাসানকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে জামালপুর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইসলামপুর উপজেলার গাইবান্ধা ইউনিয়নের নাপিতেরচর শাহপাড়া নিজ বাড়ি থেকে জাহিদ হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া জাহিদ হাসান ইসলামপুর উপজেলার গাইবান্ধা ইউনিয়নের নিদেনু মিয়ার ছেলে।
পিবিআই সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মেলান্দহ উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের ডেফলাপড়া এলাকায় পরিত্যক্ত একটি ইটভাটার পাশে থেকে মৌসুমী আক্তার নার্গিসের (২০) মরদেহ উদ্ধার করে মেলান্দহ থানা-পুলিশ। মৌসুমী আক্তার নার্গিস লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার উত্তর বত্রিশ হাজারি এলাকার জাকির হোসেনের মেয়ে।
মেলান্দহ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দিলীপ চন্দ্র সরকার বলেন, মৌসুমী আক্তার নার্গিস সাভারের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করত। একই পোশাক কারখানায় ছেলেটিও কাজ করত। চাকরিসূত্রে তাদের পরিচয় হয় এবং ৬-৭ মাস আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর মৌসুমী আক্তার সাভারের ইসলামপুরে থাকত। গত এক মাস আগে ইসলামপুর থেকে রাগারাগি করে বাড়িতে চলে যান নার্গিস। গত ৩১ তারিখে গার্মেন্টসে চাকরি নেওয়ার জন্য নার্গিস আবার সাভারে ওই পোশাক কারখানায় যান। সেখানেই এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
গাইবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ইদ্রিস আলী সরকার বলেন, ‘ঢাকায় থাকার সুবাদে আট মাস আগে জাহিদ হাসান বিয়ে করে নার্গিসকে। বিয়ের পরে স্ত্রী নার্গিসকে নিয়ে জাহিদ হাসান তার বাড়িতেই বসবাস করে আসছিল। পারিবারিক কলহের কারণে মাসখানেক আগে স্বামী জাহিদ হাসানকে খোলা তালাক দিয়ে ঢাকায় চলে যায় নার্গিস। জাহিদ হাসান নাপিতেরচর বাজারের মোবাইল ফোন মেরামতের কাজ করত।
মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ময়নুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার (পিবিআই) এম এম সালাহ উদ্দীন বলেন, এ ঘটনায় নিহতের স্বামী জাহিদ হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামির বিরুদ্ধে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।