ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ঘুমন্ত মেয়ের গলায় ছুরি ধরে জিম্মি করে এক ভাড়াটিয়া নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় মূল হোতা জামালকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার তাঁকে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়। এর আগে গতকাল রোববার পৌর এলাকা থেকে জামালকে গ্রেপ্তার করে ঈশ্বরগঞ্জ থানার-পুলিশ
পুলিশ জানায়, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার চল্লিশ বছর বয়সী ওই নারী তিন সন্তানের মা। সদর উপজেলার একটি গ্রামের বাসিন্দা। গত দুই বছর আগে স্বামী মারা যাওয়ায় মাস দু-এক আগে ফের তাঁর বিয়ে হয়। তাঁর বর্তমান স্বামী পেশায় সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক। বিয়ের পর তিনি স্বামীর সঙ্গে পৌর এলাকার ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস শুরু করেন। তাঁদের পাশের রুমে বসবাস করতেন বাড়ির মালিক একাদুলের ছেলে জুবায়েদ হোসেন আকাশ (১৯)। গত ২৬ ডিসেম্বর রাতে ওই নারীকে আকাশসহ পাঁচজন সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। ওই ঘটনায় ২৮ ডিসেম্বর রাতে ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। এতে আকাশ ছাড়াও আসামি করা হয়, আপন মিয়া, মো. জামাল মিয়া, বাবু ওরফে হাড্ডি বাবু ও মো. সোহেল মিয়াকে।
পুলিশ গত ২৯ ডিসেম্বর আকাশকে গ্রেপ্তার করতে পারলেও বাকিরা পলাতক ছিলেন। আকাশ এরই মধ্যে আদালতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। জবানবন্দির বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মূল পরিকল্পনাকারী জামাল। অন্যরা ধর্ষণ করার পর আকাশ বাধ্য হয়ে ধর্ষণ করার কথা জানায় আদালতে।
এদিকে ঘটনার পর থেকে আসামিরা পলাতক ছিলেন বলে জানায় পুলিশ। কিন্তু তাঁদের এলাকাতেই দেখা যাচ্ছিল। গত রোববার পৌর এলাকা থেকে জামালকে গ্রেপ্তার করে ঈশ্বরগঞ্জ থানার একদল পুলিশ। পরে সোমবার বিকেলে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে তাঁকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি মো. আবদুল কাদের মিয়া বলেন, এক আসামির জবানবন্দি অনুযায়ী জামাল মূল হোতা। ঘটনার পর থেকে চার আসামি পলাতক থাকলেও জামালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে। বাবু ওরফে হাড্ডি বাবু গত ৬ জানুয়ারি আদালতে হাজির হলে তাকেও কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
অপরদিকে সোমবার বিকেলে র্যাব-১৪ এর কার্যালয় থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ মামলার অন্যতম আসামি সোহেল মিয়াকে গ্রেপ্তারে তথ্য জানানো হয়েছে। সোমবার ভোরে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকা মো. সোহেল মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোহেলের বাড়ি জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার বাট্টা বালিজুড়ি গ্রামের সুরুজ মিয়ার ছেলে।
র্যাব-১৪ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর আখের মুহম্মদ জয় জানান, ঘটনার পর থেকে পলাতক থাকা সোহেলকে গ্রেপ্তারের করা হয়। থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।