জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার গোবিন্দপুর এলাকায় বিধবা জয়ফল বেগম ও তাঁর মেয়ে স্বপ্না আক্তার খুনের ঘটনায় আজ রবিবার সন্ধ্যায় মেলান্দহ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। নিহত জয়ফল বেগমের ভাই মানিক চৌধুরী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
এর আগে শনিবার (১ জানুয়ারি) রাতে নিজ ঘরের পৃথক কক্ষ থেকে ওই মা-মেয়ের গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করে মেলান্দহ থানার পুলিশ।
গ্রামবাসী ও নিহতের স্বজনদের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ শনিবার রাতে নিহত জয়ফলের ছেলে জহুরুল ইসলাম ও তাঁর স্ত্রী জেসমিন আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে যায়। নিহত জয়ফলের ভাইয়ের মামলার পর তাঁদেরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এ দুজন ছাড়াও মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আরো কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।
নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, মা-মেয়ের লাশ উদ্ধারের ঘটনার দুই দিন আগে জহুরুল ইসলাম তাঁর মা ও বোনের সাথে বাড়ির জমিজমা নিয়ে ঝগড়া করে বাড়ির জমির মাঝ বরাবর বেড়া দিয়ে স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি চলে গিয়েছিলেন। এরপর দুই দিন ধরে জয়ফল বেগমের ঘর বাইরে থেকে তালা দেওয়া ছিল। জয়ফল বেগমের অন্য দুই ছেলে ওমানপ্রবাসী হাসানুজ্জামান চৌধুরী ও খালেক চৌধুরী ফোন করে তাঁদের মা-বোনকে পাচ্ছিলেন না। ওমান থেকে ফোন করে তাঁরা তাঁদের মামা মানিক চৌধুরীকে বাড়িতে পাঠান। শনিবার সন্ধ্যায় মানিক চৌধুরী ওই বাড়িতে গিয়ে দরজা-জানালা বন্ধ দেখে সন্দেহ হয়। পরে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় ওই ঘরের দরজা খুলে ভেতরে পৃথক দুটি কক্ষে জয়ফল বেগম ও তাঁর মেয়ে স্বপ্না আক্তারের গলা কাটা রক্তাক্ত মরদেহের সন্ধান মেলে।
মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এম ময়নুল ইসলাম বলেন, মা-মেয়ের মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে তাঁদের স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহত জয়ফল বেগমের ভাই মানিক চৌধুরী বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আটক জহুরুল ইসলাম ও তাঁর স্ত্রী জেসমিন আক্তারকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।