শেরপুরে নবম শ্রেণিপড়ুয়া এক মাদরাসাছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণের দায়ে মফিজুল ইসলাম নামে ধর্ষক যুবকের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডসহ ডাবল সাজা দিয়েছেন আদালত। আজ ১৫ ডিসেম্বর বুধবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আখতারজ্জামান ধর্ষকের অনুপস্থিতিতে এ সাজার রায় ঘোষণা করেন। সাজাপ্রাপ্ত মফিজুল ইসলাম ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ালি থানাধীন বৈঠামারি গ্রামের চানু মন্ডলের ছেলে।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া বুলু রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি মামলার নথির উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, ২০১৩ সালের ৪ জুলাই বেলা ২টার দিকে শেরপুর সদরের সাপমারি দাখিল মাদরাসার ৯ম শ্রেণিপড়ুয়া ছাত্রীকে মাদরাসা থেকে তিলকান্দি গ্রামের বাড়ি যাওয়ার পথে মফিজুল তার দুই সহযোগীসহ তাকে সিএনজি অটোরিকশাযোগে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। পরে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে মফিজুল জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করে। ঘটনার ২৭ দিন পর ভিকটিমকে উদ্ধার ও ধর্ষককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করলে ২০২০ সালের ১৯ অক্টোবর আদালতে চার্জ গঠন করা হয়। পরে জামিন নিয়ে অভিযুক্ত মফিজুল পালিয়ে যায়। বিচারিক পর্যায়ে ৫ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ধর্ষণের অভিযোগে মফিজুলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে ৬ মাস এবং অপহরণের অভিযোগে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করেন আদালত।