শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় মধুটিলা ইকোপার্কে যাতায়াতের প্রধান সড়কে কালভার্টের উপরের কিছু অংশ ভেঙে পড়ায় চলাচলে দুর্ভোগে পড়েছেন মানুষ। নন্নী ইউনিয়ন হয়ে মধুটিলা সড়কের ধুপাকুড়া এলাকায় কালভার্টটি অবস্থিত। গত অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে সড়কের মাঝে কালভার্টটি ভেঙে পড়ে। এতে এই পথে ভারি যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয়, জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯-২০ অর্থ বছরে এলজিইডির মাধ্যমে উপজেলার নন্নী বাজার থেকে মধুটিলা ইকোপার্ক হয়ে সীমান্ত সড়ক পর্যন্ত পৌনে পাঁচ কিলোমিটার সড়ক সংস্কার করা হয়। কিন্ত সড়কে থাকা পুরনো কালভার্ট সংস্কার না করায় গত অক্টোবর মাসে ধুপাকুড়া এলাকায় কালভার্টটির উপরের অংশ ভেঙে পড়েছে।
এই পথে পোড়াগাঁও ইউনিয়নের সমশ্চুড়া, পশ্চিম সমশ্চুড়া, পূর্ব সমশ্চুড়া ও মধুটিলা গ্রামের মানুষ যানবাহনে করে নন্নী বাজার হয়ে উপজেলা ও জেলা শহরের চলাচল করেন। এছাড়া এখন পর্যটন মৌসুমে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতিদিন শতশত দর্শনার্থী বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার ও অটোরিকশা করে মধুটিলা ইকোপার্কে বেড়াতে আসেন।
কিন্ত দুই মাস ধরে কালভার্টটি ভেঙে পড়ায় নিরুপায় হয়ে মোটরসাইকেলসহ অটোরিকশা সড়কের পাশ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে। এতে প্রায় সময় ছোট-খাটো দুর্ঘটনা ঘটছে। এছাড়া বড়গাড়ি নিয়ে ইকোপার্কে যাতায়াতে বিকল্প পথ হিসেবে প্রায় ১০-১২ কিলোমিটার পথ ঘুরতে হচ্ছে। এলাকাবাসী ও মধুটিলা ইকোপার্ক কর্মকর্তারা দ্রুত কালভার্ট সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন।
মধুটিলা ইকোপার্কের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. আবদুল করিম বলেন, এখন এই পার্কে দর্শনার্থীদের আসার সময়। এই সময়ে যদি কালভার্টটি সংস্কার না হয়, তাহলে দর্শনার্থীদের অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হবে। তাই দ্রুত কালভার্টটি সংস্কারের দাবি জানাই।
পোড়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. জামাল উদ্দিন বলেন, গত দুইমাস ধরে ধুপাকুড়া এলাকায় কালর্ভাট ভেঙে পড়ায় এই পথে চলাচলকারী মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। সংস্কারের জন্য ইউএনও স্যারকে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে।
সদ্য বিদায়ী এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী মো. আব্দুল্লাহ-আল-মামুন বলেন, সড়ক সংস্কার করা হলেও পুরোনো কালভার্ট থাকায় যানবাহনের চাপে ভেঙে পড়েছে। ইতিমধ্যে সংস্কারের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে।