ময়মনসিংহের ফুলপুরে এক বিধবার ভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। গত ২৮ নভেম্বর ভাইটকান্দি ইউনিয়নের রহুল আমিনের কাছে ফিঙ্গার প্রিন্ট দিতে গেলে এমন ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ভাতার বইয়ে ভুল থাকার কথা বলে বইটি রহুল আমিন নিজের কাছে নিয়ে নেন। একপর্যায়ে ওই বিধবার টাকা তুলে নেন রহুল আমিন। উপজেলার ভাইটকান্দি ইউনিয়নের ছোট শুনই গ্রামের বিধবা গুল রেহান এমন অভিযোগ করেন ভাইটকান্দি ইউনিয়নের উদ্যোক্তা রহুল আমিনের বিরুদ্ধে।
গতকাল সোমবার ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বরাবর ভুক্তভোগী ওই নারী একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার কথা জানান ইউএনও। এ সময় বিধবাকে তার ভাতার বিষয়টিও নিশ্চিত করা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
ভুক্তভোগী ওই নারী জানান, ফুলপুর সমাজসেবা কার্যালয়ের উপকারভোগী বই নং-১৯৮২৫ এবং ব্যাংক হিসাব নম্বর-৭৫৫৫৫। বেশ কিছুদিন ধরে ভাতা দিয়ে খেয়ে না খেয়ে কোনমতে বেঁচে আছেন। গত ২৮ নভেম্বর বই হাতে ভাইটকান্দির রহুল আমিনের কাছে ভাতার টাকা তুলতে গেলে বইয়ে ভুল রয়েছে, তা সংশোধন করা হবে- এ কথা বলার পর সরল মনে তার কাছে বইটি দিলে রহুল ভাতার টাকা তুলে নেন। বিধবা এ নারী জানান, টাকা না পেয়ে বর্তমানে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
ফুলপুর উপজেলায় ২০২১-২২ অর্থবছরের ৩৬,০৮৪ জনকে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় থেকে প্রায় ২৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকার ভাতা প্রদান করা হয়েছে। উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
বিধবার টাকা আত্মাসাতের কথা জানতে চাইলে অভিযুক্ত রহুল আমিন বই নেওয়ার কথা স্বীকার করলেও টাকা তুলার কথা অস্বীকার করে বলেন, ওই বিধবার টাকা অন্য কেউ তুলে নিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা সমাজসেবা অফিসার শিহাব উদ্দিন খান বলেন, রহুল আমিনের কাছ থেকে বইটি উদ্ধার করা হয়েছে। আশা করি বিধবা গুল রেহেনকে তার পাওনা ভাতা দ্রুত সময়ে তার কাছে তুলে দেওয়া হবে। অভিযোগের সত্যতা পেলে রহুল আমিনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।