কিশোরগঞ্জে ধর্ষণ চেষ্টাকালে গৃহবধূর শিলের আঘাতে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার রাতে কিশোরগঞ্জ শহরের নীলগঞ্জ মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর ওই গৃহবধূর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। নিহত ব্যক্তির নাম আমিনুল আলম (৪৫)। ইতালি প্রবাসী বিবাহিত এই ব্যক্তি নীলগঞ্জ সড়কস্থ মৃত আব্দুস সামাদের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্বামী ও দুই সন্তানসহ নীলগঞ্জ সড়কস্থ সেবাশ্রম এলাকায় একটি বাসায় ভাড়া থাকেন ওই গৃহবধূ। স্বামী হোসেনপুরে একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করেন। শহরের নীলগঞ্জ সড়কস্থ ইতালি প্রবাসী আমিনুল আলমের বাসাতে প্রায় দুই বছর আগে ভাড়া থাকতেন এই দম্পতি। পরে পাশের আরেক ভাড়া বাসায় উঠেন তারা। প্রায় দেড় মাস আগে ইতালি থেকে দেশে আসেন আমিনুল। শুক্রবার রাতে তিনি ওই গৃহবধূর বাসায় গিয়ে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন বলে ভুক্তভোগী পুলিশকে জানান। এ সময় আত্মরক্ষার্থে গৃহবধূ মরিচ বাটার শিল দিয়ে আমিনুলের মাথায় আঘাত করেন। এতে আমিনুল মেঝেতে লুটিয়ে পড়েন। এ সুযোগে গৃহবধূ বাসা থেকে বের হয়ে থানায় গিয়ে পুলিশকে ঘটনা জানান। পরে পুলিশ গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় আমিনুলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাতেই তাকে ময়মনসিংহে পাঠানো হয়। সেখান থেকে ঢাকায় নেবার পথে ভোর ৫টার দিকে তার মৃত্যু হয় বলে জানা গেছে।
ঘটনার সময় গৃহবধূর স্বামী বাসায় ছিলেন না। ৭ বছর বয়সী বড় ছেলে পাশের কক্ষে এবং চার বছর বয়সী ছোট ছেলে গৃহবধূর সঙ্গেই ছিল। ঘটনার পর সন্তানদের বাসায় রেখেই গৃহবধূ থানায় যান।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক জানান, ‘ধর্ষণচেষ্টার সময় শিল দিয়ে আমিনুলকে আঘাতের কথা পুলিশকে বলেছেন গৃহবধূ।’