ময়মনসিংহের ফুলপুরে এক স্কুলছাত্রীকে যৌন হয়রানি ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে ফুলপুর পৌরসভার এক কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ফুলপুর থানায় মামলা করা হয়েছে। অভিযুক্ত এহসানুল হক (৪০) পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত কাউন্সিলর ও চরপাড়া গ্রামের আব্দুল হাইয়ের ছেলে।
ভুক্তভোগী ফুলপুর পৌরসভার একটি স্কুলের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী ও একই ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২১ নভেম্বর পৌরসভার নিজ কার্যালয়ে জন্মনিবন্ধন কাজে গেলে কৌশলে মেয়েটিকে কাগজপত্র বাসায় আছে বলে মোটরসাইকেল যোগে একটি বাসায় গিয়ে তাকে যৌন হয়রানি ও ধর্ষণের চেষ্টা করেন ওই জনপ্রতিনিধি।
ফুলপুর থানা ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, ৮ম শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই ছাত্রীর বাড়ি পৌরসভার কাউন্সিলর এহসানুল হকের বাড়ির পাশে। মেয়েটির বাবা ঢাকায় গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে চাকরি করেন। মা ওমান প্রবাসী। চরপাড়া গ্রামে নানার বাড়িতে বসবাস করেন এ স্কুলছাত্রী।
গত ২১ নভেম্বর রবিবার সকালে অফিস চলাকালীন সময়ে মামিকে নিয়ে জন্মনিবন্ধন কাগজ ঠিক করার জন্য ফুলপুর পৌরসভার কার্যালয়ে আসেন। কাগজপত্র তার বাসায় আছে বলে কৌশলে মেয়েটিকে নিয়ে পৌর কাউন্সিলর নিজ মোটরসাইকেলে পৌরসভার গোদারিয়া সহিদ মিয়ার বাসায় নিয়ে যায়। এ সময় বাসায় কোনো লোক না থাকায় মেয়েটিকে জড়িয়ে ধরে ও দরজা বন্ধ করে তাকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করেন কাউন্সিলর এহসানুল হক।
এ সময় তার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে এহসানুল হক পালিয়ে যায়। ঘটনাটি পৌর মেয়রসহ পরিবারকে জানানো হয়। স্থানীয়ভাবে মীমাংসা না হওয়া এবং এহসানুল হক প্রভাবশালী হওয়ায় পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করতে ভয় থাকলেও মেয়েটি নিজেই বাদী হয়ে বুধবার (১ ডিসেম্বর) ফুলপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফুলপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী নিজেই থানায় মামলা করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইন-অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।