শেরপুরের শ্রীবরদীতে এক গৃহবধূকে (২০) দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। গৃহবধূ বাদী হয়ে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে শ্রীবরদী থানায় মামলা করেন। পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে। গত সোমবার উপজেলার একটি বিদ্যালয়ের চারতলা ভবনে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন উপজেলার মো. কামরুজ্জামান (২৩) ও শফিকুল ইসলাম (২৭) এবং জামালপুরের দেউরপাড়া গ্রামের আয়নাল হক (৫০)। আয়নাল শ্রীবরদী উপজেলার একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, দুই বছর আগে জামালপুরের বকশীগঞ্জে ভুক্তভোগী নারীর বিয়ে হয়। তাঁর বাবার বাড়ি শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলায়। কয়েক দিন আগে ওই গৃহবধূ তাঁর বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। গৃহবধূর কাছ থেকে কামরুজ্জামান এক হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন। গত সোমবার দুপুরে ওই গৃহবধূ কামরুজ্জামানের কাছে তাঁর পাওনা টাকা চান। কামরুজ্জামান টাকা নেওয়ার জন্য সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার একটি বাজারে যেতে বলেন। গৃহবধূ সেখানে গেলে তাঁকে বিদ্যালয়ের ভেতরে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়।
শ্রীবরদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবুল হাশিম আজ বুধবার সকালে বলেন, পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে ধর্ষণ ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। জেলা সদর হাসপাতালে ভুক্তভোগী নারীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।