নেত্রকোনার দুর্গাপুরে চিরকুট লিখে হাওয়া (১৮) নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় পৌর শহরের ভাঙ্গাব্রিজ এলাকার স্বামীর বসতঘর থেকে পুলিশ মৃতের মরদেহ উদ্ধার করে।
মৃত গৃহবধূ উপজেলার চন্ডিগড় ইউনিয়নের সাতাশী গ্রামের কৃষক ফজলুল করিমের মেয়ে। তাঁর স্বামীর নাম হাসান মিয়া। স্থানীয় একটি ইটভাটায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন তাঁর স্বামী।
জানা যায়, তিন মাস আগে তাঁদের বিয়ে হয়। প্রতিদিনের মত সোমবার সকালে ইটভাটায় কাজ করতে চলে যান হাসান মিয়া। এরপর হাওয়া তাঁর শ্বশুরকে বলেন, তাঁকে বাপের বাড়ি নিয়ে যেতে। শ্বশুর তাঁকে নিয়ে যায় এবং সারা দিন সেখানে থেকে বিকেলে আবারও শ্বশুরের সঙ্গে চলে আসেন স্বামীর বাড়ি।
এরপর শ্বশুর তাঁকে বাসায় রেখে বাজারে চলে যান। এরপর এক প্রতিবেশী হাওয়াদের বাড়িতে গেলে তাঁকে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলতে দেখেন। এ সময় ওই প্রতিবেশীর চিৎকারে স্থানীয়রা এসে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
মৃত্যুর আগে হাওয়া একটি চিরকুটে লেখেন, ‘আমি নিজের ইচ্ছায় মরেছি, এতে আমার স্বামীর কোনো অন্যায় নেই। আমি মরলে যেন আমার স্বামী আরেকটা বিয়ে করে। আমি খারাপ মানুষ, তাই মরে যাচ্ছি। আমি মরলে আমার সব জিনিসপত্র আমার বাড়িতে যেন আমার মা বাবার কাছে দিয়ে দেওয়া হয়।’
চিরকুট পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে দুর্গাপুর থানার ওসি শাহনুর এ আলম বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। আগামীকাল মঙ্গলবার সকালে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা মর্গে পাঠানো হবে।’