তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় নেত্রকোনার পূর্বধলায় ১০ জনকে দলীয় পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আশরাফ আলী খান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাঁদের বহিষ্কার করা হয়।
আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে ওই নেতাদের বহিষ্কারের বিষয়টি জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. মাজহারুল ইসলাম নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, দলের সিদ্ধান্ত না মেনে পূর্বধলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ১০ নেতা বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে লড়ছেন। দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে তাঁদের সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
সাময়িক বহিষ্কৃত নেতারা হলেন ঘাঘড়া ইউনিয়নের মো. মাজহারুল ইসলাম, জারিয়া ইউনিয়নের মো. ইউনুস আলী মণ্ডল ও মো. আমিনুল ইসলাম, আগিয়া ইউনিয়নের ছানোয়ার হোসেন চৌধুরী, বিশকাকুনি ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. আমজাদ হোসেন, খলিশাউড় ইউনিয়নের মো. ইয়াকুব আলী, গোহালাকান্দা ইউনিয়নের মো. আনোয়ার হোসেন, হাসনাত জামান খোকন, বৈরাটি ইউনিয়নের আনিসুজ্জামান তালুকদার ও মো. সাজ্জাত হোসেন।
পূর্বধলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এরশাদ হোসেন বলেন, সাময়িকভাবে বহিষ্কৃত নেতাদের নির্বাচনে অংশ না নিয়ে দলীয় প্রার্থীর হয়ে কাজ করতে অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও দলীয় মনোনয়ন বোর্ডের সিদ্ধান্ত না মেনে তাঁরা সরাসরি নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। এ জন্য তাঁদের সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
বহিষ্কৃত নেতাদের একজন জারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. ইউনুস আলী মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘বহিষ্কারের বিষয় নিয়ে আমি বিচলিত নই। আমি দলের একনিষ্ঠ কর্মী। জনগণকে নিয়েই দল। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে আমার ইউনিয়নের জনগণের ইচ্ছার সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে প্রার্থী হয়েছি। আশা করি, জনগণ আমাকে ভালোবেসে ভোট দেবেন।