টাঙ্গাইলে আজ বুধবার যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী।
পৌর শহরের সন্তোষে দিনব্যাপী এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. এ আর এম সোলাইমান। এরপর আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-শিক্ষার্থী, মওলানা ভাসানীর পরিবার, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাব, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন পুস্পস্তবক অর্পণ এবং মোনাজাত করেন।
প্রসঙ্গত, মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ১৯৭৬ সালের এইদিনে ঢাকার তৎকালীন পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। পরে টাঙ্গাইলের সন্তোষে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।
মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী শোষণ ও বঞ্চনাহীন, প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনের জন্য আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। জাতীয় সংকটে মানুষের পাশে থেকে তিনি দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতেন। দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি দেশ ও জনগণের জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে গেছেন।
১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে মওলানা ভাসানীর জন্মগ্রহণ করেন। তিনি কৈশোর থেকে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। সিরাজগঞ্জে জন্ম হলেও মওলানা ভাসানী তার জীবনের বড় অংশই কাটিয়েছেন টাঙ্গাইলের সন্তোষে। দীর্ঘদিন তিনি তৎকালীন বাংলা-আসাম প্রদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি ছিলেন।
১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট গঠনকারী প্রধান নেতাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন মওলানা ভাসানী। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, পাকিস্থানের শোষণ-নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা আন্দোলন, প্রবীণ বয়সে ১৯৭৬ সালে ফারাক্কা লংমার্চসহ ইতিহাসের প্রতিটি বাঁকে রেখে গেছেন তার কর্মের ছাপ। বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালে গঠিত প্রবাসী সরকারের উপদেষ্টামন্ডলীর সভাপতিও ছিলেন তিনি।