ময়মনসিংহ থেকে ট্রেনে করে জারিয়া রেল স্টেশনে আসেন ওমর ফারুক (২৩) নামে এক যুবক। ট্রেন থেকে নেমে বাবু নামে এক বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে বিরিশিরি ও বিজয়পুর এলাকা ঘোরার জন্য একটি নতুন মোটরসাইকেল দেখে সারা দিনের জন্য ভাড়া করেন। সারা দিন ঘুরে শেষে বিকেলের দিকে বিজয়পুর এলাকায় কয়েক ঘণ্টা বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করেন।
ঘোরাঘুরি শেষে সোমেশ্বরী নদী পার হওয়ার সময় মোটরসাইকেল চালককে জুস খাওয়ান। নতুন মোটরসাইকেলে করে যাত্রী নিয়ে যাওয়ার পথে চালককে সুস্থ দেখেছিল স্থানীয়রা। কিন্তু সন্ধ্যার পরে দুর্গাপুর পৌরশহরের আত্রাখালী শ্মশানঘাট এলাকায় আসলে চালককে মাতালের মতো হেলে দুলে হাঁটার ভঙ্গি দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। এতে এলাকাবাসী তাঁদের পথ রোধ করলে কৌশলে বাবু নামে একজন পালিয়ে যায় এবং ওমর ফারুককে আটক করে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা।
মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলা পৌরশহরে এ ঘটনা ঘটে। আটক ওমর ফারুক ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চরনীলক্ষিয়া ইউনিয়নের রশিদপুর গ্রামের জহিদুল ইসলামের ছেলে।
মোটরসাইকেল চালক লাখ মিয়া (৩৪) পূর্বধলা উপজেলার জারিয়া পূর্বপাড়া গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে। চালক অজ্ঞান অবস্থায় বর্তমানে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
দুর্গাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সৌরভ সাহা বলেন, আটক ওমর ফারুক পুলিশ হেফাজতে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ময়মনসিংহ ব্রীজের মোড়ে চা দোকানে কাজ করে বলে জানিয়েছে। ভিকটিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।