1. najmush71@gmail.com : admin : Najmush Shakeer
  2. munir2002lubnan@gmail.com : Munirul Huq Khan : Munirul Huq Khan
বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:০৯ পূর্বাহ্ন

ত্রিশালে স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্প আওয়ামী লীগ প্রার্থীর ভাঙচুর

রিপোর্টার
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২১

ময়মনসিংহের ত্রিশালে নির্বাচন পূর্ব সহিংসতায় উপজেলার কানিহারী ইউনিয়নের তালতলা গ্রামে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আশরাফ আলী উজ্জলের একটি নির্বাচনী ক্যাম্প ও প্রার্থীর সমর্থক আবু সাঈদের প্রতিষ্ঠিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অগ্রদুত কোচিং সেন্টারে সোমবার রাতে ভাঙচুর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী শহিদুল্লাহ মন্ডলের সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে ত্রিশাল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী সাঈদ।

জানা গেছে, সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার কানিহারী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শহিদুল্লাহ মন্ডল ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আশরাফ আলী উজ্জল তাদের সমর্থকদের নিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। এই দুই প্রার্থীই প্রচারণাকালে মুখোমুখি হন ইউনিয়নের বালিদিয়া গ্রামে। সেখানে দুইপ্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জেরে রাত ১২টার দিকে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্পে নৌকা প্রার্থীর উপস্থিতিতে ভাঙচুর চালায় তার সমর্থকরা।
এরপর রাত সাড়ে ১২টার দিকে সেনবাড়ী বাজার এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফ আলী উজ্জলের সমর্থক আবু সাঈদের প্রতিষ্ঠিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অগ্রদুত কোচিং সেন্টারের তিনটি স্থাপনা ও বই বিতান নামে একটি দোকানে হামলা চালিয়ে রামদা দিয়ে কুপিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে শহিদুল্লাহ মন্ডলের সমর্থকরা।

কানিহারি ইউনিয়নের তালতলা গ্রামের বাসিন্দারা জানান, নৌকার প্রার্থী শহিদুল্লাহ মন্ডল হলেন স্থানীয় আহাম্মদাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তারই উপস্থিতিতে এ ধরনের ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে এবং নির্বাচনপূর্ব সহিংসতার এমন রূপ যদি ধারণ করে তবে কিভাবে ভোটাররা ভোট দিতে কেন্দ্রে যাবে। একজন শিক্ষক হয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হামলা দুঃখজনক।

স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আশরাফ আলী উজ্জল জানান, আমার প্রতিপক্ষ নৌকার প্রার্থী শহিদুল্লাহ মন্ডলের উপস্থিতিতে নির্বাচনী ক্যাম্পে ভাঙচুরের ঘটনা ন্যাক্কারজনক।

এ ঘটনা অস্বীকার করে নৌকার প্রার্থী শহিদুল্লাহ মন্ডল বলেন, আমার সমর্থকরা হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটায়নি। বরং তারাই আমার সমর্থকদের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছে। ভাঙচুর হওয়া মোটরসাইকেল কোথায় আছে জানতে চাইলে ফোনটি কেটে দেন তিনি।

ওসি মাইন উদ্দিন জানান, অগ্রদুত কোচিং সেন্টার ভাঙচুরের ঘটনায় ভুক্তভোগী আবু সাঈদ বাদী হয়ে লোকমান, বুলবুল, শামীম ও কামালসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ১৫/২০ জনের বিরুদ্ধে ত্রিশাল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য ত্রিশালে তৃতীয়ধাপে আগামী ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩ আঙ্গর টিভি