জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে চোর সন্দেহে মানসিক ভারসাম্যহীন রাসেল মিয়াকে (২২) মারধরের প্রতিবাদ ও দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী ও স্থানীয় স্কুলের শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার সকালে উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের পোগলদিঘা এসইএস ডিপি মডেল হাইস্কুলের প্রধান সড়কে এলাকাবাসীর উদ্যোগে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মামলা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ২৩ সেপ্টেম্বরে বিকালে মানসিক ভারসাম্যহীন রাসেল মিয়া পরিবারের লোকজনের অজান্তে বাড়ি থেকে বের হয়ে পোগলদিঘা ইউনিয়নের একুশের মোড় এলাকায় গিয়ে এলোপাথাড়ি ঘোরাফেরা করতে থাকে। এ সময় চোর সন্দেহে স্থানীয় শিপন মিয়া, ফিরোজ দোকানদার, হৃদয়, ইলিয়াসসহ আরো কয়েকজনে মিলিত হয়ে এলোপাথাড়িভাবে মারধর করে রাসেল মিয়ার পাজরের দুটি হাড় ভেঙে দেয়। মারধরের এক পর্যায়ে প্লাস দিয়ে হাতের নখ উপরে ফেলে তারা। পরে পরিবারের লোকজন সংবাদ পেয়ে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। অবস্থার অবনতি দেখা দিলে তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তর করা হয়। দীর্ঘদিন হাসপাতালে থাকার পর পরিবারের অপারগতায় রাসেল গুরুতর অবস্থায় নিজ বাড়িতে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন বলে জানা যায়।
এ ঘটনায় রাসেল মিয়ার বাবা শুক্কুর আলী বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামি করে গত ৭ অক্টোবর সরিষাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ এখনো কাউকে আটক করতে না পারার হতাশ প্রকাশ করেন এলাকাবাসী।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মনির হোসেন, উপজেলা ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সদস্য শাহিনুর রহমান আজাদ, ইউপি সদস্য জামাল উদ্দিন উপজেলা যুব মহিলা লীগের সহ সভাপতি শাহানাজ পারভীন প্রমুখ।
এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর রকিবুল হক বলেন, মারধরের ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলার কি অবস্থা দেখে জানাব বলে তিনি জানান।