নেত্রকোনা সদর উপজেলার মৌগাতি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এ এফ এম মহিউল ইসলাম খানের নির্বাচনী প্রচারে বাধা, পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা, ব্যানার-ফেস্টুন পুড়িয়ে ফেলা ও মাইক ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে আজ বুধবার দুপুরে মহিউল ইসলাম খান জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা, জেলা পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন স্থানে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. মোস্তাফিজুর রহমান খান ও তাঁর লোকজন এসব কাজ করেছেন বলে অভিযোগে বলা হয়।
এ এফ এম মহিউল ইসলাম খান মৌগাতি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য। তবে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে গত শুক্রবার তাঁকে দল থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়।
বিদ্রোহী প্রার্থী মহিউল ইসলাম খানের অভিযোগ, প্রতীক বরাদ্দ হওয়ার পর থেকেই আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও তাঁর লোকজন প্রচারে বাধা, পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা, কর্মী-সমর্থকদের মারধরসহ ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। মঙ্গলবার বেলা পৌনে একটার দিকে বিদ্রোহী প্রার্থী কয়াকান্দা গ্রামের কুদ্দুসের বাড়ির সামনে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছিলেন।
এ সময় আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সমর্থক কাঞ্চনপুর গ্রামের মো. বাবু, মো. পাপ্পু মিয়া, ফারুক মিয়াসহ অন্তত ২৫ জন যুবক এসে প্রচারে বাধা দেন। তাঁরা প্রচারপত্র কেড়ে নেন, পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেন। এ সময় তাঁকে (মহিউলকে) ক্ষুর দেখিয়ে গলা কেটে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। এতে বাধা দিতে গেলে তাঁর চারজন কর্মী আহত হন। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতেই নেত্রকোনা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়।
আজ বুধবার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, পুলিশ সুপার, জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মহিউল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে মোস্তাফিজুর রহমান খান তাঁর লোকজন দিয়ে প্রচারে বাধা, পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা, কর্মী-সমর্থকদের ভয়-ভীতিসহ আমাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এতে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এসব বিষয়ই স্থানীয় থানা-পুলিশ, জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিতভাবে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।’
অভিযোগের বিষয়ে মোস্তাফিজুর রহমান খান বলেন, ‘যেসব বিষয় নিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী অভিযোগ দিয়েছেন, তা সত্য নয়। আমি এবং আমার লোকজন উনাকে বা উনার কর্মী-সমর্থকদের কোনো ধরনের ভয়ভীতি বা প্রচারে বাধা দেয়নি।’
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবদুল লতিফ শেখ বলেন, ‘এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে থানা-পুলিশকে জানানো হয়েছে।’
নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদ বলেন, অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।